বাপ্পাদিত্যর বাড়িতে সিবিআই
শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ফের তৎপর সিবিআই। কলকাতা পুরসভার কাউন্সিলর বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্ত বাড়িতে সিবিআই হানা। বাপ্পাদিত্য কলকাতা পুরসভায় তৃণমূলের মুখ্য সচেতক পদে রয়েছেন। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ হিসেবেই পরিচিত বাপ্পাদিত্য।
বৃহস্পতিবার তৃণমূল কাউন্সিলের পাটুলির বাড়িতে হাজির হন কেন্দ্রীয় বাহিনীর গোয়েন্দারা। বাড়ির কলিং বেল বাজানো হয়। প্রায় ২০ মিনিট সিবিআই আধিকারিকদের বাড়ির বাইরে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়। পাশের বাড়ির ছাদেও উঠতে দেখা যায় সিবিআই আধিকারিকদের। কিছুক্ষণ পর তৃণমূল কাউন্সিলর নিজেই দরজা খুলে সিবিআই আধিকারিকদের ভিতরে নিয়ে যান।
বৃহস্পতিবার নিজাম প্যালেস থেকে দুটি গাড়িতে বের হয় সিবিআই। তাদের সঙ্গে ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরাও। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, নির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতেই বাপ্পাদিত্যর বাড়িতে এই সিবিআই তল্লাশি। এই মুহূর্তে বাপ্পাদিত্যর বাড়িতে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। বিভিন্ন নথিপত্র ঘেঁটে দেখছেন সিবিআই আধিকারিকরা। তল্লাশির পর কোনও তথ্য উঠে আসে কি না, সেদিকে নজর থাকবে।
পার্থর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাপ্পাদিত্যর
তৃণমূলে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মানসপুত্র হিসেবেই পরিচিত ছিলেন বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্ত। পার্থর সঙ্গে একই সংস্থায় কাজ করা দিয়ে কর্মজীবন শুরু বাপ্পার। তৃণমূলের প্রাক্তন মহাসচিবের হাত ধরেই তাঁর রাজনীতিতে আসা। সেখান থেকে কলকাতা পুরসভার কাউন্সিলর। দীর্ঘদিন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পুজো নামে খ্যাত নাকতলা উদয়ন সংঘের সঙ্গেও জড়িত ছিলেন বাপ্পা। এমনকী দক্ষিণ কলকাতার যুব তৃণমূল সভাপতির দায়িত্বও তাঁকে দিয়েছিল দল।
২০২২-এ পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ফ্ল্যাট থেকে কোটি কোটি টাকা ও সোনার গয়না উদ্ধার করে ইডি। গ্রেফতারির মুখে পড়েন পার্থ ও অর্পিতা। পার্থর গ্রেফতারির পর তাঁর সঙ্গে দূরত্ব তৈরির চেষ্টা করেন বাপ্পাদিত্য। সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি বলেন, ‘যে পার্থদাকে চিনতাম, তাঁর সঙ্গে একে মেলাতে পারছি না। আমার মেয়ে ক্লাস সিক্সের পড়ুয়া। এই ঘটনার পর তাকেও মুখ দেখাতে পারছি না। গোটা ঘটনায় আমার পরিবার স্তম্ভিত।’