বুধবার রাজভবনে আয়োজন করা হয়েছিল ‘গ্লোবাল এনার্জি পার্লামেন্ট’। সেখানেই ‘বিজ্ঞান এবং বিশ্বাস’ শীর্ষক আলোচনাসভায় অংশ নেন ইসরো চেয়ারম্যান এস সোমনাথ। চন্দ্রযান ৩-এর সাফল্য এবং ইসরোর পরবর্তী পরিকল্পনার কথা জানান তিনি। সেই পরিকল্পনারই অঙ্গ আগামী দিনে মহাকাশে মানুষ পাঠিয়ে ফেরত আনা। ইসরোর চেয়ারম্যান এদিন বলেন, ‘চাঁদের উৎস (ওরিজিন) নিয়ে সন্ধান চালানোর কাজ চলছে।
আসলে, চন্দ্রযান-২ অভিযানে কী কী খামতি ছিল, সেগুলিকে খতিয়ে দেখে চন্দ্রযান-৩ অভিযানের পরিকল্পনা করা হয়েছিল। এর পরে অভিযানে যুক্ত সকলের কঠোর পরিশ্রম ও সম্মিলিত প্রয়াসের ফলেই চন্দ্রযান ৩-এ সাফল্য আসে।’ চাঁদের কোথায় জল রয়েছে, চন্দ্রযান-১ অভিযানেই তা জানা গিয়েছিল। চন্দ্রযান-২ পাঠানো হয়েছিল অন্য একটি লক্ষ্যে। যদিও তা পূরণ হয়নি। সেগুলিকেই খুঁজে বের করতে চন্দ্রযান-৩ পাঠানো হয়। তবে চন্দ্রযান-৩ এর বিষয়ে প্রথম থেকেই সব দিক খতিয়ে দেখে তবেই এগোনোর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।
চাঁদের জন্য ইসরোর আরও একাধিক মিশন রয়েছে বলেও জানান ইসরোর চেয়ারম্যান। যেমন, ২০৪০ সালের মধ্যে একজন ভারতীয়র চাঁদে পা রাখার টার্গেট রয়েছে। সে জন্যও সরকারের তরফে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন সোমনাথ। এর পরেই তিনি জানান, চাঁদের পর ইসরোর লক্ষ্য ‘শুক্র গ্রহ’। সেখানেও যান পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। তিনি বলেন, ‘শুক্রের জন্য আমরা রেডি হচ্ছি। দ্রুত সরকারের অনুমতি নেওয়া হবে।’ বিশেষজ্ঞেরা বলেন, আমাদের সব থেকে কাছের গ্রহ তো বটেই, পৃথিবীর সঙ্গে প্রচুর মিল রয়েছে শুক্রের।
ইসরোতে কীভাবে কাজের সুযোগ পাওয়া যায়, সে বিষয়েও এদিন পরামর্শ দেন সংস্থার চেয়ারম্যান। তিনি জানান, বিজ্ঞান সম্পর্কে প্যাশন এবং ফিজিক্স, কেমিস্ট্রির ওপর দক্ষতা থাকতে হবে। মেকানিক্যাল, কম্পিউটার সায়েন্সের স্নাতক, স্নাতকোত্তর স্তরের পড়ুয়াদেরই ইসরোতে চাকরির সুযোগ রয়েছে। গ্রামে মহাকাশ গবেষণায় যাতে আগ্রহ তৈরি হয়, সে জন্য দ্রুত স্কুল শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে ইসরোর তরফ থেকে।