ছাপাখানা খুলে জাল লটারি, পুলিশি অভিযানে গ্রেফতার ৭ – seven criminals from jharkhand are arrested in fake lottery case


এই সময়, আসানসোল: পশ্চিম বর্ধমানের কুলটি ও জামতাড়ার মিহিজাম থানার পুলিশের যৌথ অভিযানে বুধবার ঝাড়খণ্ড থেকে ধরা পড়ল জাল লটারি চক্রের সাত দুষ্কৃতী। ওই জাল লটারি সরবরাহ করা হতো বাংলায়। মিহিজাম থানার আমুই এলাকায় একটি বন্ধ হোটেলে গত তিন-চার মাস ধরে এই কারবার চলছিল বলে পুলিশ জানিয়েছে। তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে জাল লটারির টিকিটে লেনদেন হতো কয়েক কোটি টাকা।

জামতাড়া পুলিশের এসপি অনিমেষ নইথানি জানান, আসানসোল পুলিশ কমিশনারেটের ডিসি (পশ্চিম) অভিষেক মোদী জানান, এখানে কুণাল নামে এক ব্যক্তি ভুয়ো লটারির টিকিট ছাপাচ্ছে। এর পর কুলটি থানার পুলিশ আধিকারিকরা মিহিজামের এই এলাকাটি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ‘খবর পেতেই আমাদের এসডিপিও আনন্দ জ্যোতি মিনজ ও মিহিজাম থানার ওসি ভাস্কর ঝায়ের নেতৃত্বে একটি টিম তৈরি করে খোঁজখবর শুরু হয়।

তার পরই অভিযান চলে।’ অভিযানে যোগ দেয় কুলটি থানার পুলিশও। জামতাড়ার পুলিশ সুপার জানান, অভিযানে গিয়ে বন্ধ ওই হোটেলের ভেতরে গিয়ে চমকে যান পুলিশ আধিকারিকরা। দেখা যায়, সেখানে রীতিমতো বড় ধরনের ছাপাখানা চলছে। সেখানে থেকে গ্রেপ্তার করা হয় ৭ জনকে। এদের মধ্যে পাঁচ জন ধানবাদ ও দু’জন জামতাড়া এলাকার বাসিন্দা। ধৃতদের কাছ থেকে ৮টি ল্যাপটপ, ১২টি ডিজিটাল প্রিন্টার, বিভিন্ন আকারে ১৩ বান্ডিল লটারির টিকিটের কাগজ, ৭ বস্তা ছাপা জাল লটারির টিকিট, উন্নতমানের পেপার কাটিং মেশিন, ৫টি মোটর বাইক ও দু’টি আধুনিক প্রিন্টিং মেশিন বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ।

অন্য দিকে, কুলটি থানার আইসি রাজু স্বর্ণকার জানান, নিরসা এবং চিরকুন্ডা থেকে সন্তোষ কুমার সাউ ও উমেশ কুমার নামে দু’জনকে পুরোনো মামলায় এই কারণে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই দুষ্কৃতীদের কাছ থেকেও ল্যাপটপ সমেত বিভিন্ন যন্ত্রপাতি পাওয়া যায়। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেই কুলটি পুলিশ মিহিজাম পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে হোটেলে তল্লাশি শুরু করে।

তিনি বলেন, ‘গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের নাম কুণাল মণ্ডল, বিশাল মণ্ডল, শিবু গোপ, হিমু মল্লিক, আদিত্য মল্লিক, অঞ্জন মল্লিক, আস্তিক অধিকারী। ধৃতরা পুলিশকে জানিয়েছে, আসল টিকিট বিক্রি করলে সরকারকে ভালো টাকা কর দিতে হয়। এই জাল টিকিট বিক্রি করলে কোনও কর দিতে হয় না। এর থেকে তারা কয়েক লক্ষ টাকা আয় করতে পারে। পুলিশ এখন এই জাল টিকিটের ব্যবসায়ীদের খোঁজ করছে। খোঁজ চলছে হোটেল মালিক চন্দন ঠাকুরেরও।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *