দক্ষিণ দিনাজপুরের বোলা কালীমাতা পুজা উপলক্ষে একসসঙ্গে ১০ হাজার ছাগল বলি দেওয়ার বিরুদ্ধে জনস্বার্থ মামলা করা হয় আদালতে। তবে এই মামলায় হস্তক্ষেপ করল না কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ জানান, এই ধরনের সঙ্গে মানুষের কিছু বিশ্বাস ও আস্থা জড়িয়ে আছে। তাঁদের কথায়, এই ধরনের উৎসবের একটা স্পিরিট রয়েছে। সেটা হঠাৎ করে বন্ধ করা যায় না।
দক্ষিণ দিনাজপুরের বোল্লা কালী পুজোর পাঁঠা বলির বিষয় বলতে গিয়ে অন্যান্য রাজ্যের একাধিক ধর্মীয় রীতির কথাও উঠে আসে। বিচারপতিরা এদিন আরও জানান, বিভিন্ন রাজ্যে যে মোরগ লড়াই হয়, উত্তরভারতের অত্যন্ত জনপ্রিয় খেলা জাল্লিকাট্টুর মতো বিপদজনক খেলা তাহলে বন্ধ করে দেওয়া হতো। সেই কারণে মানুষের ধর্মীয় ভাবাবেগকে মর্যাদা দিতেই এই প্রথার বিরুদ্ধে হওয়া জনস্বার্থ মামলায় হস্তক্ষেপ করল না আদালত।
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় রাসপূর্ণিমার পর বোল্লা কালী পুজোর আয়োজন করা থাকে। ঐতিহ্যশালী এই পুজোর পাশাপাশি একটি জনপ্রিয় মেলারও আয়োজন করা হয়। এই কালী পুজোতে প্রাচীন রীতি মেনে ১০ হাজার পাঁঠা বলি দেওয়া হয়। আশেপাশের প্রচুর মানুষ এই পাঁঠা বলির অনুষ্ঠানে যোগদান করে থাকেন।
তবে পুজো ছাড়া এত সংখ্যক পশুবলির বিরুদ্ধে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। তাঁদের কথায়, লাইসেন্স ছাড়া যেখানে সেখানে এভাবে পশুবলি করা যায় না। রাজ্যের উচিত বিষয় নিয়ে হস্তক্ষেপ করা।
এটা রাজ্যের তরফে বন্ধ করে দেওয়া উচিত। তবে আদালত জানায়, বর্তমানে পুজোর মরশুম চলছে। তাই উৎসবের মরশুমের মাঝেই এভাবে একটি প্রথাকে এভাবে হুট করে বন্ধ করা যায় না। সেক্ষেত্রে প্রচুর মানুষের ভাবাবেগে আঘাত লাগতে পারে। তবে পুজো কমিটিকে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানায় আদালত। এই সংক্রান্ত রিপোর্ট মার্চ মাসে দেওয়া হবে বলে জানায় আদালত। উল্লেখ্য, চলতি বছর তামিলনাড়ুতে ষাঁড়ের খেলা জাল্লিকাট্টুকে বৈধতা দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। সেই মামলার বিষয়টিও উল্লেখ দিন উত্থাপিত করা হয় আদালতে।