এই সময়: কোর্টের নির্দেশের পরেও প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ যোগ্যদের প্যানেল প্রকাশ করেনি। এই পরিস্থিতিতে পর্ষদকে সতর্ক করল কলকাতা হাইকোর্ট। তাঁর পর্যবেক্ষণ – ‘যোগ্য বেকাররা রাস্তায় বসে আছেন। প্রতিদিনই তাঁদের বয়স বাড়ছে। বছর পেরিয়ে যাওয়া মানে তাঁদের চাকরির বয়সও পেরিয়ে যাওয়া। আপনাদের পদক্ষেপ করতেই হবে। এ ভাবে দেরি করা যাবে না।’ বিচারপতি অমৃতা সিনহার বক্তব্য, গত অক্টোবরে ওই নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এখনও বোর্ড সময় চাইছে? যাঁরা অপেক্ষা করছেন তাঁরা বেকার। তিনি স্পষ্ট জানান, কোর্ট প্যানেল দেখতে চায়। প্যানেল প্রকাশ না হলে এই অন্ধকার কাটবে না।
এ দিন শুনানির শুরুতেই বোর্ডের কাছে আদালত জানতে চায়, ২০১৬-র প্রাথমিক শিক্ষকদের প্যানেল কোথায়? পাশাপাশি, যে ৯৪ জনের নিয়োগ বেআইনি বলে পর্ষদ জানিয়েছিল, তাঁদের কি আসনের চেয়ে অতিরিক্ত হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে? বোর্ডকে তা জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। আগামী ৭ ডিসেম্বরের মধ্যে হলফনামা জমা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে বোর্ডকে।
এ দিন শুনানির শুরুতেই বোর্ডের কাছে আদালত জানতে চায়, ২০১৬-র প্রাথমিক শিক্ষকদের প্যানেল কোথায়? পাশাপাশি, যে ৯৪ জনের নিয়োগ বেআইনি বলে পর্ষদ জানিয়েছিল, তাঁদের কি আসনের চেয়ে অতিরিক্ত হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে? বোর্ডকে তা জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। আগামী ৭ ডিসেম্বরের মধ্যে হলফনামা জমা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে বোর্ডকে।
চাকরি থেকে বরখাস্ত হওয়া ওই ৯৪ জনের আইনজীবী সপ্তাংশু বসু বলেন, ‘কোনও মিথ্যে তথ্য পর্ষদকে দেওয়া হয়নি। ভুল প্রশ্ন মামলায় সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ ছিল, প্রত্যেককে এক নম্বর দিতে হবে। তা পেলে এঁরা যোগ্য হবেন। বোর্ডকে কিছু লুকিয়ে রাখা হয়নি।’ যদিও এঁরা টেটে সফল হয়েছেন বলে স্পষ্ট দাবি করা হয়নি। অন্যপক্ষের আইনজীবীরা জানান, অনলাইনে ফর্ম ভর্তির ক্ষেত্রে টেটে সফল না হলে ওয়েসাইট অন করাই যাবে না। ফলে এটা স্পষ্ট, যে এঁরা নিজেদের টেটে সফল বলে দাবি করেছেন। ১২ ডিসেম্বর পরবর্তী শুনানি। প্যানেল প্রকাশ নিয়ে সে দিন নিজেদের অবস্থান জানাতে হবে পর্ষদকে।