মেডিক্যাল কলেজ নিয়ে সাম্প্রতিক আপডেট
- ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারের তরফে সবুজ সংকেতও দেওয়া হয়েছে।
- এমবিবিএস পড়ানোর জন্য ১৫০ আসনের এই মেডিক্যাল কলেজের কাজ খুব শীঘ্রই শুরু হচ্ছে।
- জেলা ভাগ নিয়ে দোলাচালে ছিল জঙ্গিপুর মহকুমা।
- এই অংশে মেডিক্যাল কলেজের অনুমোদন মেলায় ফের জেলা ভাগ নিয়েও আশার আলো দেখছেন জঙ্গিপুরবাসী।
এক বছরের মধ্যেই চালু হতে পারে মেডিক্যাল কলেজ
জাকির হোসেন
কী সুবিধা হবে সাধারণের?
জঙ্গিপুর মহকুমায় বহু মানুষকে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিষেবা পেতে প্রায় ৯৫ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে বহরমপুরে আসতে হয়। মুর্শিদাবাদ সীমান্ত লাগোয়া ঝাড়খণ্ড থেকেও বহু মানুষ বহরমপুরে আসে চিকিৎসার জন্য আসেন। এবার ঘরের কাছেই মিলবে চিকিৎসা পরিষেবা। ডাক্তারি পড়ার সুযোগও খুলে গেল।
কী বলছেন কলেজের প্রতিষ্ঠাতা?
উদ্যোগপতি তথা তৃণমূল বিধায়ক জাকির হোসেন বলেন, ‘খুব শীঘ্রই নতুন ভবন তৈরি হবে। রাজ্যের তরফে অনুমোদন মিলেছে। এখনও কেন্দ্রের আরও একটি অনুমতি পাওয়া বাকি। ওখানে একটি বি ফার্ম কলেজ আছে। সেখানে একবছর ক্লাস করানো যাবে। সব ঠিকঠাক থাকলে তার মধ্যেই নতুন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল তৈরি হয়ে যাবে। সাধারণ মানুষের এতে অনেকটাই সুবিধা হবে।’
সাধারণ মানুষ কী বলছে?
রঘুনাথগঞ্জ-১ ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মানোয়ারা খাতুন বলেন, ‘ভালো চিকিৎসা পরিষেবার জন্য এলাকাবাসীকে এতদিন বহরমপুর বা কলকাতায় যেতে হতো। এখন থেকে হাতের কাছেই চিকিৎসা করানো যাবে। এছাড়া এলাকার ছেলেমেয়েরা ডাক্তারি পড়ার সুযোগ পাবে। এই প্রতিষ্ঠানে যেমন কর্মসংস্থান হবে তেমনই একে ঘিরে বহু প্রতিষ্ঠান তৈরি হবে।’ জামুয়ার গ্রামের বাসিন্দা স্বপন দাস বলেন, ‘এই এলাকাগুলো শহর থেকে বেশ কিছুটা দূরে। ফলে চিকিৎসা পরিষেবায় জড়িত কোনও কাজের জন্য কয়েক কিমি দূরে শহরে যেতে হয়। এই এলাকায় মেডিক্যাল কলেজ গড়ে উঠলে চিকিৎসা পরিষেবার পাশাপাশি সাধারণ মানুষের আয়ের বহু উৎস বাড়বে।’ রঘুনাথগঞ্জের বাসিন্দা তপন মণ্ডল বলেন, জেলাভাগ নিয়ে দীর্ঘিদিন থেকে ঝুলে রয়েছে। এবার মনে জেলাভাগের আরও একধাপ এগোলে রাজ্য।
রাজ্য সরকারের অনুমোদন মিলেছে। কবে কেন্দ্র অনুমোদন দেবে সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছে উদ্যোগপতি সহ জেলার মানুষ।