হাবড়াবাসীরা মজেছে সবুজ পুদিনা চা-এ। সকাল সন্ধ্যা এখন এই সবুজ রংয়ের পুদিনা চা খেতেই ভিড় জমছে এই দোকানে। গ্যাস, অম্বল, হাইপারটেনশন, প্রেসার, ডায়াবেটিস রোগীরা এখন এই চায়ে চুমুক দিয়েই সতেজতা অনুভব করছেন। আর তাই সকাল-সন্ধ্যা সবুজ পুদিনা চা খেতে জায়গাছি এলাকার আনন্দময়ী হোটেলে আসছেন অনেকে। শরীর-স্বাস্থ্য সচেতন মানুষজন গ্রিন টি খান। তবে এই গ্রিনটির দাম অনেকটাই বেশি, সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে সবুজ পুদিনার চা মিলছে মাত্র পাঁচ টাকায়।
গরম জলে বিশেষ পুদিনার সহ বিভিন্ন মসলার দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে। এই চা প্রথমে কিছুটা হালকা সবুজ রং হলেও ধীরে ধীরে গারো সবুজ রং হচ্ছে গোটা স্বচ্ছ চায়ের কাপ। বয়স্ক মানুষদের পাশাপাশি নতুন প্রজন্মের ছেলে মেয়েরাও এখন এই চায়ের স্বাদ নিতে আসছেন।
দোকানদার-এর দাবি কোনওরকম কেমিক্যাল না মিশিয়েই সাধারণ পদ্ধতিতে তৈরি হচ্ছে এই চা। ফলে শরীর স্বাস্থ্য ভালো রাখতে এই চা খেতেই পারেন সকলে। এখন এই চা বিক্রি করেই ভাল মতন সংসার চালাচ্ছেন চা বিক্রেতা সুশান্ত বিশ্বাস। শুধু পুদিনা চাই নয়, এই দোকানে লিকার চা দুধ চাও মেলে। তবে পুদিনা চা খেতেই আগ্রহ বেশি থাকে মানুষের বলে জানালেন দোকানে ভিড় করা চা প্রেমীরা। সবুজ পুদিনা চায়ে চুমুক দিলেই মিলছে সতেজতা, ক্লান্তি দূর হচ্ছে নিমেষেই। তাই এই চায়ের স্বাদ নিতে চাইলে আসতেই পারেন হাবড়ায়।
উদ্ভিদ বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, পুদিনা পাতায় রয়েছে একাধিক উপকারী উপাদান। মুখের নানান জীবাণু সংক্রমণ থেকে মুক্তি দিতে পারে পুদিনা। পুদিনা পাতায় রয়েছে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। যা মুখের ভিতরের ব্যাকেটরিয়া সংক্রমণ থেকে মুক্তি দেয় বলেই উপকার মেলে। গা-হাতে-পায়ে ব্যথার উপশম, কঠিন রোগ প্রতিরোধ করতে বেশ উপকারী এই পুদিনা। স্বাভাবিক ভাবেই, পুদিনা পাতার চা অনেকাংশেই মানুষের স্বাস্থ্যের কাজে লাগতে পারে।