এরপরেই নড়েচড়ে বসেছে পর্ষদও। সমস্ত জেলা পরিদর্শকের থেকে গ্রুপ সি কর্মীদের তথ্য চেয়ে পাঠানো হয়েছে। প্রত্যেকটি গ্রুপ সি কর্মীদের নিয়োগের তারিখ এবং সেই সম্পর্কিত তথ্য জানানোর জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ২ তারিখ অর্থাৎ শনিবারের মধ্যে তা জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
জানা যাচ্ছে, ইতিমধ্যেই সমস্ত জেলার পরিদর্শকরা প্রধান শিক্ষকের থেকে গ্রুপ সি কর্মীদের তথ্য চেয়েছেন এবং তা পোটার্লের তথ্যের সঙ্গে মিলিয়ে দেখা হয়ে গেলে পর্ষদের কাছে পাঠানো হবে। মোটের উপর, রাজ্যের গ্রুপ সি কর্মীরা অর্থাৎ ক্লার্করা CBI স্ক্যানারে রয়েছেন। প্রত্যেকটি গ্রুপ সি কর্মীর যোগদান থেকে শুরু করে যাবতীয় তথ্য খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কোনও অনিয়ম ধরা পড়লে হতে পারে সমস্যা।
উল্লেখ্য, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর নিয়োগ দুর্নীতি মামলা নিয়ে তৎপরতা তুঙ্গে। ছয় মাসের মধ্যে মামলা শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ২ মাসের মধ্যে CBI-কেও তদন্ত শেষ করার কথা বলা হয়েছে। এরপর থেকেই তৎপরতা কার্যত তুঙ্গে।
সম্প্রতি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় রাজ্যের একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালিয়েছিল CBI। এর মধ্যে রয়েছে ডোমকলের তৃণমূল বিধায়ক জাফিকুল ইসলাম, কলকাতা পুরসভার ১০১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্ত, বিধাননগর পুরসভার মেয়র ইন কাউন্সিল দেবরাজ চক্রবর্তী। তাঁদের বাড়িতে গিয়ে তল্লাশি চালান গোয়েন্দারা।
এর মধ্যে জাফিকুলের বাড়ি থেক বেশ কয়েক লাখ টাকা উদ্ধারের ঘটনা সামনে এসেছিল। ওই টাকা গোনার জন্য আলাদা করে মেশিনও আনা হয়। যদিও বিধায়ক সংবাদ মাধ্যমে জানান, তাঁর কাছে জমি বিক্রি বাবদ কিছু টাকা ছিল।
বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশ মনে করছেন, তদন্ত এবার ধীরে ধীরে গুটিয়ে নিতে চাইছেন গোয়েন্দারা। নিয়োগ দুর্নীতির একেবারে গোড়া পর্যন্ত পৌঁছে যেতে চাইছেন। আর সেই প্রেক্ষিতে এই তৎপরতা এবং তথ্য চেয়ে পাঠানো অত্যন্ত ইঙ্গিতপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এর আগে ED-র হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন রাজ্যেের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। আপাতত আদালতের নির্দেশ মোতাবেক তিনি সংশোধনাগারে রয়েছেন।