Hangseshwari Temple : ক্যানসার মুক্তিতে কেমো, দীর্ঘ চিকিৎসা! সুস্থ হয়ে ছানা প্রসব হংসেশ্বরীর ‘পার্মানেন্ট’ অতিথি আতুর – hooghly hangseshwari temple stray dog recovers from cancer after one year treatment


মারণরোগের বিরুদ্ধে লড়াই করে জীবনের মূলস্রোতে ফিরে আসা। এক সারমেয়র জীবনের সংগ্রামের কাহিনী হার মানাবে রূপকথাকেও। শুধু তাই নয় জীবনের মূলস্রোতে ফিরে এসে এখন সে এখন সন্তানের মা। আদুরে আতুর গল্পই এখন অনেক মানুষের জীবনে লড়াইয়ের রসদ জোগাচ্ছে।

ক্যানসারজয়ী আতুর সংগ্রাম

হুগলির বাঁশবেড়িয়ার হংসেশ্বরী মন্দিরে গেলে হামেশাই দেখা মেলে আতুর। ছোট বয়স থেকে মন্দির চত্বরে বেড়ে ওঠা। মন্দিরে আসা ভক্তদের পায়ে পায়ে ঘুরে বড় হওয়া। মায়ের বাড়িই যেন আতুর ঘর। এহেন সারমেয়র শরীরেই একদিন দানা বাঁধে মারণ ক্যানসার। বছর খানেকের লড়াইয়ের পর এখন স্বাভাবিক জীবন কাটাচ্ছে এই সারমেয়।

মন্দির কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গিয়েছে, ছোটবেলা একটি হঠাতই এখানে ঠাঁই নেয় আতু। দেবীর ভোগের উচ্ছিষ্ট খেয়েই বড় হয়ে উঠেছিল সে। এই পথ কুকুরের শান্ত স্বভাব কয়েকদিনের মধ্যে তাকে মন্দিরের পুরোহিত থেকে ভক্ত, সকলের প্রিয় করে তোলে। কিন্তু হঠাৎ করে অসুস্থতা কাবু করে ফেলে তাকে। জরায়ু থেকে শুরু হয় রক্তক্ষরণ। বন্ধ হয়ে গিয়েছিল খাবার খাওয়া। হংসেশ্বরী মন্দির পুরাতত্ত্ব বিভাগের আওতাধীন। সেই দফতরের অস্থায়ী কর্মী প্রতাপ সিংহ আতুর এই অবস্থা দেখে চিন্তিত হয়ে পড়েন।

atu stray dog

আতুর চিকিৎসা চলছে।

তারপর আতুকে নিয়ে শুরু হয় ছোটাছুটি। মন্দিরের কর্মী গণেশ দাস এই কাজে প্রতাপের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন। বাংলাদেশের জনপ্রিয় পোষ্য কুকুর সন্তুর নামে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পেজ রয়েছে। সেই পেজের সদস্যরা একদিন হংসেশ্বরী মন্দিরে পুজো দিতে আসেন। আতুর চিকিৎসায় তাঁদের দ্বারস্থ হন প্রতাপ ও গণেশ। সন্ত গ্রুপের সদস্যরাই আতুর কেমোথেরাপির ব্যবস্থা করেন।

atu stray dog (1)

হংসেশ্বরী মন্দিরে বসে আতু। নিজস্ব ছবি।

পাঁচটি কেমোর পর ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে ওঠে আতু। কেমোর ফলে শরীর থেকে উঠে গিয়েছিল লোম। কিন্তু ওষুধের জোরে ফের তা ফিরে আসে। তার থেকে জীবনের মূলস্রোতে ফিরে আসা। কয়েকদিন আগেও অবধিও অধিকাংশ সময়ে হংসেশ্বরী মন্দিরে বসে থাকতে দেখা যেত তাকে। তবে সন্তান প্রসবের পর এখন মন্দিরের সামনেই একটি গাছের নীচে তার বর্তমান আস্তানা।

আতুর সংগ্রামের সঙ্গী প্রতাপ

প্রতাপের সাহায্য ছাড়া ক্যানসার জয় অধরাই থেকে যেত আতুর। এই সময় ডিজিটালকে পুরাতত্ত্ব বিভাগের ওই অস্থায়ী কর্মী বলেন, ‘সম্প্রতি আতু তিন সন্তানের জন্ম দিয়েছে। সম্ভবত দুটি ছানা জন্মবার পরই মারা গিয়েছে। মন্দির সংলগ্ন এলাকার একটি গাছের নীচেই এখন আতু থাকছে। তার সন্তানও সেখানে রয়েছে। আমরা দু’বেলা সেখানে গিয়েই ওকে খাবার দিয়ে আসছি। তবে এখন ও সুস্থ রয়েছে বলেই মনে হচ্ছে। এই সময় মায়েদের শারীরিক দুর্বলতা থাকে। তার জন্য প্রয়োজনীয় চিকিৎসার ব্যবস্থাও আমরা করব।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *