Howrah School : ইংরেজি মাধ্যম নয়, একগুচ্ছ সুবিধা সরকারি স্কুলে! ফ্লেক টাঙিয়ে বিজ্ঞাপন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের – howrah primary school gives flex to inform guardians about facilities of government schools


সরকারি প্রাথমিক স্কুলে পড়ুয়াদের নিয়ে আসার জন্য একসময় শিক্ষক, শিক্ষিকারা তাদের বাড়ি বাড়ি যেতেন। যদিও ইদানিং সরকারি স্কুলের থেকেও বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে পড়ানোর বিষয়ে বেশি আগ্রহী অভিভাবকরা। ফলে সরকারি স্কুলগুলিতে দিন দিন পড়ুয়ার সংখ্যা কমছে। এই অবস্থায় পড়ুয়া বৃদ্ধিতে অভিনব পদক্ষেপ করল এক সরকারি স্কুল কর্তৃপক্ষ।

কী ঘটনা?

সরকারি বিদ্যালয়গুলিতে প্রায় রোজই কমছে পড়ুয়াদের সংখ্যা। অধিকাংশ ক্ষেত্রে অভিযোগ ওঠে শিক্ষক ও শিক্ষিকাদের উপর। এইসব ক্ষেত্রে অভিযোগ উঠেছিল সংশ্লিষ্ট স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকারা পড়ুয়াদের ধরে রাখার ব্যাপারে বিশেষ আগ্রহী নয়। সেই কারণে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দিকেই ক্রমেই ঝুঁকছেন অভিভাবকরা। পরিকাঠামো নিয়েও ছিল একাধিক প্রশ্ন। এক্ষেত্রে ব্যাতিক্রমী ও অভাবনীয় উদ্যোগ নিল উলুবেড়িয়ার একটি প্রাথমিক স্কুল।

সরকারি স্কুলে ভর্তি করানোর জন্য রীতিমতো ফ্লেক্স টাঙিয়ে প্রচার শুরু করল উলুবেড়িয়া উত্তর চক্রের চন্ডীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের রামপুর জয়রামপুর প্রাথমিক স্কুল। স্কুলের তরফে ফ্লেক্সের মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে, বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। স্কুল কর্তৃপক্ষের বিশ্বাস এতে অভিভাবকরা সন্তানদের স্কুলে ভর্তি করে আগ্রহী হবে।

৪৫ মিনিটে দক্ষ পড়ুয়া তৈরির সরকারি পাঠশালা, ছাত্র ফেল করলে দোষী শিক্ষক‌ই
ফ্লেক্সে কোন কোন বিষয়ের উল্লেখ?

রামপুর জয়রামপুর প্রাথমিক স্কুল তরফে টাঙানো ফ্লেক্সে একাধিক বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে। এলাকার বিভিন্ন জনবহুল এলাকায় এই ধরনের ফ্লেক্স টাঙানো হয়েছে। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক…

SCHOOL FLEX

টাঙানো হয়েছে এই ফ্লেক্স। নিজস্ব ছবি।


  • অতিরিক্ত পাঠ্য পুস্তকের চাপ নেই
  • ছাত্র ছাত্রীদের পঠনপাঠনের জন্য কোনো রকম বেতন প্রদান করতে হয় না
  • ছাত্রছাত্রীদের পোশাক ও জুতো বিনামূল্যে প্রদান করা হয়
  • প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষক শিক্ষিকাদের দিয়ে খেলা ও আঁকার বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়ে থাকে
  • পড়ুয়াদের দুপুরে বিনামূল্যে খাবার দেওয়া হয়ে থাকে


কী বলছে কর্তৃপক্ষ?

ফ্লেক্স টাঙানোর ফলে আরও বেশি করে পড়ুয়া ভর্তি হব বলে আশাবাদী স্কুল কর্তৃপক্ষ। জয়রামপুর প্রাথমিক স্কুলের প্রধান শিক্ষক মদন মোহন কাঞ্জি বলেন, ‘শিশু বয়স থেকেই পড়াশোনার জন্য অতিরিক্ত সিলেবাসের চাপ দেওয়া> ফলে সংশ্লিষ্ট পড়ুয়ার মস্তিস্কের উপর চাপ পড়ে। ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে এই ধরনের চাপ বেশি। এইক্ষেত্রে পড়ুয়াদের বুদ্ধির বিকাশে বাধাপ্রাপ্ত হয়। আর সেইসব থেকে শিশুদের দূরে রাখার জন্য আমরা সরকারি স্কুলে ভর্তি করানোর কথা বলছি। সরকারি স্কুলগুলিতে কী কী সুবিধা পাওয়া যাবে সেই কথা জানিয়ে আমরা ফ্লেক্সও টাঙিয়েছি।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *