কী ঘটনা?
মধ্যমগ্রাম চৌমাথার সুভাষ ময়দানে প্রতি বছর জেলা খাদি মেলা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। প্রায় প্রতি বছরই সেই মেলায় অন্যতম প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকেন বারাসতের তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার। তবে এ বছর অনুষ্ঠান মঞ্চে তাঁকে দেখা যায়নি। জানা যায়, সাংসদের কাছে পৌঁছয়নি আমন্ত্রণপত্র। এমনকী কার্ড বা ব্যানারেও তাঁর নাম ছিল না। মঞ্চে বক্তব্য রাখতে উঠে সাংসদের অনুপস্থিতি নিয়ে আক্ষেপের সুর শোনা যায় স্থানীয় বিধায়ক ও রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষের গলায়। আগামী বার থেকে অনুষ্ঠানের আগে আমন্ত্রণের বিষয়টি নিয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। পশ্চিমবঙ্গ খাদি ও গ্রামীণ শিল্প পর্ষদের সভাপতি কল্লোল খাঁকেও বলতে শোনা যায় ‘ভুল হয়ে গিয়েছে।’
কী বললেন খাদ্যমন্ত্রী?
সাংসদকে আমন্ত্রণ করার বিষয়ে মঞ্চ থেকে খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ বলেন, ‘উদ্যোক্তদের অনুরোধ করব আগামী দিনে এই ধরনের অনুষ্ঠান আয়োজনের আগে জেলা পরিষদের যাঁরা দায়িত্বে রয়েছেন, তাঁদের সঙ্গে একটু কথা বলে নেবেন। কারণ সাংসদ আমাকে বললেন, তাঁর নাম নেই বলে তিনি আসবেন না। সবাই সমন্বয় সাধন করে কাজ করলে অসন্তোষের কোনও জায়গা থাকত না।’
পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘অবশ্যই একটা মিসটেক হয়েছে। বোর্ডের চেয়ারম্যান সাহেব জানেন। জেলা পরিষদের সভাধিপতি ও কর্মাধ্যক্ষকেও বলেছি। তাঁরা খেয়াল রাখবে যে আগামী দিনে এটা না হয়। সাংসদ ক্ষুণ্ন হননি। তবে ওঁর নাম অবশ্যই থাকা উচিত ছিল। উনি জানিয়েছেন, নাম নেই সেই কারণে তাঁর উপস্থিতি বাঞ্ছনীয় নয়। এটার মধ্যে তো কোনও ভুল নেই।’
পশ্চিমবঙ্গ খাদি ও গ্রামীণ শিল্প পর্ষদের সভাপতি ও বিধায়ক কল্লোল খাঁ বলেন, ‘স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের অবশ্যই ডাকা হয়। জেলা প্রশাসনের থেকে তালিকা নিয়ে ডাকা হয়। সাংসদকে ডাকা হয়নি বলে আমি ক্ষমাপ্রার্থী। আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেছি। আগামী দিনে যেন কোনওভাবেই এই ভুল না হয়।’