Kolkata Police : টেলিগ্রাম চ্যাটে ‘মহাবিপদ’, ১২০০০০০০ টাকা গায়েব ব্যক্তির! কলকাতা পুলিশের জালে ৪ – kolkata police arrested four people linked with telegram crypto currency investment scam


কলকাতা শহরে একের পর এক সাইবার প্রতারণার ঘটনা বিগত কয়েক মাসে সামনে এসেছে। সাইবার অপরাধের একাধিক তদন্তে সাফল্যও পেয়েছে লালবাজার। ফের সাফল্য পেল কলকাতা পুলিশের সাইবার ক্রাইম বিভাগ। ক্রিপ্টো প্রতারণা চক্রের পর্দাফাঁস করেছে পুলিশ।

প্রতারণা চক্রের পর্দাফাঁস পুলিশের

সাইবার প্রতারণার বিরুদ্ধে ফের বড় সাফল্য পুলিশ। বিগত ছ’মাসে এই নিয়ে পঞ্চমবার সাইবার প্রতারণা গ্যাংকে ধরতে সক্ষম হয়েছেন লালবাজারের গোয়েন্দারা। এই গ্যাংয়ের চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এখনও এক মহিলার সন্ধানে রয়েছেন তদন্তকারীরা। ধৃতদের নাম দীপক কুমার. কামেশ্বর আল্লম রাও, মণীশ জৈন ও সঞ্জয় সিং।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছ, ক্রিপ্টো কারেন্সিতে বিনিয়োগের নাম করে ও বাড়তি লাভের প্রলোভন দেখিয়ে ট্রেডার ও চাকুরিজীবী ‘টার্গেট’ করত এই প্রতারণা চক্র। দেওয়া হত ওয়ার্ক ফ্রম হোমের প্রলোভনও। পুলিশের সন্দেহ এই প্রতারণার চক্রের সঙ্গে আরও অনেকে যুক্ত রয়েছে। প্রতারণার চক্রের পাণ্ডা এক মহিলা বলে অনুমান তদন্তকারীদের। তাঁর খোঁজে চালানো হচ্ছে তল্লাশি।

কী জানাচ্ছে পুলিশ?

কলকাতা পুলিশের ডিসি (সাইবার ক্রাইম) অতুল বিশ্বনাথন এ প্রসঙ্গে টাইমস অব ইন্ডিয়াকে বলেন, ‘সেপ্টেম্বর মাসে শ্যামপুকুরের কালাচাঁদ সান্যাল লেনের বাসিন্দা শৈবাল কুমার কুণ্ডু অভিযোগ দায়ের করেন। লিখিত অভিযোগে তিনি জানান ক্রিপ্টোতে বিনিয়োগের নামে তাঁর ১ কোটি ২০ লাখ টাকা খোয়া গিয়েছে। সেই অভিযোগের তদন্তে নেমে প্রথম রাজারহাটের বাসিন্দা দীপককে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারির সময় তার থেকে সাড়ে চার লাখ টাকা নগদ ও অন্যান্য নথি উদ্ধার করা হয়।’

West Bengal Police DG : রাজ্য পুলিশের ডিজির ছবি লাগানো ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে জালিয়াতি, গ্রেফতার ১
ডিসি (সাইবার ক্রাইম) আরও বলেন, ‘তদন্তে চলাকালীন আমরা জানতে পারি সঞ্জয় ও কামেশ্বরের অ্যাকাউন্টেও টাকা ঢুকেছে। বেলঘড়িয়া থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। পরে তদন্তে মণীশের নাম উঠে আসে। তাকেও গ্রেফতার করা হয়েছে।’

কী ভাবে হয়েছিল প্রতারণা?

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এক মহিলার থেকে ফোন পেয়েছিলেন শৈবাল। সেখানে নিজেকে ডিজিটাল মার্কেটিং ফার্মের প্রতিনিধি হিসেবে পরিচয় দিয়ে বোনা হয় প্রতারণার জাল। টেলিগ্রাম গ্রুপের লিঙ্ক দিয়ে অভিযোগকারীকে একটি গ্রুপে জয়েন করতে বলা হয়। গ্রুপের অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেওয়া হয়। তাদের কথায় অনুপ্রাণিত হয়ে টাকা বিনিয়োগ করে শৈবাল। পরে তিনি বোঝেন তাঁর সঙ্গে প্রতারণার হয়েছে। এরপর তিনি অভিযোগ দায়ের করেন।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *