Madan Mitra on Saugata Roy : ‘অতি ভক্তি চোরের লক্ষণ…’, ফের মদন বাণে বিদ্ধ সৌগত – madan mitra stated against mp sougata ray about his statement on abhishek banerjee


নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে তৃণমূল কংগ্রেসের সভায় দলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি ছিল না। বিষয়টি নিয়ে তুমুল জলঘোলা তৈরি হয়েছে দলের অন্দরে। ছবি না থাকা নিয়ে আগেই উষ্মা প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছিল রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষকে। ছবি রাখতেই হবে, এমন তো কোনও কথা নেই বলে মন্তব্য করছিলেন বর্ষীয়ান সাংসদ সৌগত রায়। এবার সৌগত রায়ের বিরুদ্ধে খড়গহস্ত হলেন বিধায়ক মদন মিত্র।

একপক্ষের মতে, মমতা ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এক মুদ্রার দুই পিঠ। আরেক শিবিরের মতে, দুজনের লড়াইয়ের রাস্তা আলাদা। তবে মমতাই দলে মুখ্য। তিনিই এখনও পর্যন্ত দলের সর্বেসর্বা। দুজনকে একই আসনে বসানো উচিত নয়। এই নিয়ে যতদিন যাচ্ছে, ততোই দলের মাদার এবং যুব সংগঠনের মধ্যে সূক্ষ্ম সীমান্ত রেখা তৈরি হতে শুরু করেছে। যা লোকসভা নির্বাচনের আগে অনেকটাই অস্বস্তির।

কী বলেছিলেন সৌগত?

তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেন, ‘অভিষেক নিশ্চয়ই যুব সমাজের কাছে সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য নেতা। উনি দলের সুবৃদ্ধিতে বড় ভূমিকা পালন করে। কিন্তু তাঁর ছবি রাখতেই হবে, এমন কোনও কথা নেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের ছবি ছিল, এটাই যথেষ্ট।’ পালটা মদন মিত্রের মতে, ‘ যাঁরা অভিষেককে খাটো করে দেখছেন, দলে বিষাক্ত আবহাওয়া তৈরি করছেন তাঁরা।’

কী বললেন মদন?

তবে এদিন দলেরই বর্ষীয়ান সাংসদ সৌগত রায়ের বিরুদ্ধে একের পর এক বিরূপ মন্তব্য করতে শোনা যায় মদন মিত্রকে। একটি বৈদ্যুতিক সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকারে মদন মিত্র জানান, অনেকেই ভাবছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মনোনয়ন দেবেন, কিন্তু অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেখানে কোনও ভূমিকা থাকবে না। আদতে এটা ভুল ভাবছেন তাঁরা। সেই জন্যেই তাঁরা শুধু মমতা – মমতা করছেন। এরপরেই সৌগত রায়কে কটাক্ষ করে মদন মিত্র বলেন, ‘ অতি ভক্তি চোরের লক্ষণ।’

Trinamool Congress : শেষ কথা মমতাই, দলে নবীন-প্রবীণ বিতর্কে মত সৌগতর
তাঁর বক্তব্য, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মধ্যে যাঁরা ফারাক খোঁজার চেষ্টা করছেন, তাঁরা আদতে দলের ক্ষতি করছেন। তাঁরা দলের মধ্যে একটা বিষাক্ত বাতাবরণ তৈরি করতে চাইছেন। আগামী দিনে এটা দলের ক্ষতি করবে বলেই জানিয়েছেন মদন। তবে দলের দুই প্রথম সারির নেতার বাদানুবাদে দলের অন্দরেই অস্বস্তি বাড়ছে বলে ধারণা রাজনৈতিক মহলে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *