Poush Mela : পৌষ মেলার ছোট আয়োজনে আপত্তি, একগুচ্ছ দাবি নিয়ে বেঁকে বসল শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট – poush mela is in doubt for various problem raised shantiniketan trust against visva bharati university


Poush Mela 2023 নিয়ে শনিবারই সুখবর জানিয়েছে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তবে পৌষ মেলা নিয়ে টানাপোড়েন অব্যাহত। পরিবেশ বিধি মেনে ছোট করে মেলা করা হবে বলে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় বিশ্বভারতীর তরফে। তারপরেই শুরু হয়েছে টানাপোড়েন। ছোট করে মেলার আয়োজন করতে রাজি নয় শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট।

কী নিয়ে সমস্যা?

শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের সম্পাদক অনিল কোণারের দাবি, বিশ্বভারতী এখনও আমাদের কিছু জানায়নি। তবে বিশ্বভারতী যদি বলে থাকে ছোট মেলার কথা তবে তা মানা সম্ভব নয়। মেলা ছোট করে করা যাবে না। কারণ এই মেলার স্টল গুলির ভাড়া থেকেই উঠে আসে মেলার খরচ। আর তাই ছোট করে মেলা করলে কোনওভাবেই টাকা তোলা সম্ভব নয়।

স্টল বুকিংয়ের সফটওয়্যার

শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট জানিয়েছে, মেলাটি করতে গেলে সফটওয়্যার টিকে ডেভেলপ করা প্রয়োজন কারণ এই সফটওয়্যার এর মাধ্যমে স্টল বুকিং হয়। ২০১৯ সালেই সফটওয়্যারটি তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু তিন বছরের মেয়াদ ফুরিয়ে যাওয়ায় সেই সফটওয়্যারটিকে নতুনভাবে ডেভেলপ করতে হবে। ট্রাস্টের সম্পাদক অনিল কোণার জানিয়েছেন, যদিও আমরা শুনেছি উপাচার্য আইআইটিকে বলেছে এই সফটওয়্যার টি ডেভেলপ করার জন্য।
এছাড়াও এই গ্রামীণ মেলা নির্ভর করে জলাশয়ের উপর। মোট চারটি জলাশয় আছে। কিন্তু দীর্ঘদিন মেলা না হওয়াই সেগুলও পরিষ্কার করা হয়নি। যার জন্য জলাশয়গুলি শুকিয়ে গিয়েছে। এই মেলাতে বিভিন্ন জায়গা থেকে যে সমস্ত লোকজনেরা আসেন, তাঁদের অধিকাংশই স্নান করা, কাপড় ধোয়ার জন্য ব্যবহার করেন এই জলাশয়ের জল। তাই এটিকে আগে সংস্কার করতে হবে বলেও জানান তিনি।

Poush Mela Santiniketan : বিদ্যুৎ’সংকট’ থেকে মুক্তি? ৩ বছর পর শান্তিনিকেতনে পৌষমেলার আয়োজন করছে বিশ্বভারতী
এগুলি ছাড়াও আরও বেশ কয়েকটি সমস্যা রয়েছে। ইলেকট্রিক্যাল এবং জলের পাইপলাইনগুলিকে দেখতে হবে সেগুলি কি অবস্থায় আছে কারণ দীর্ঘদিন মেলা হয়নি। এছাড়াও মাঠে রেডি টয়লেট আছে ৩০ টি। সেগুলিও দীর্ঘদিন বন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে। যার জন্য সেগুলির কী অবস্থা রয়েছে সেটাও দেখতে হবে। তাই এই পরিকাঠামো গুলি কী অবস্থায় আছে সেগুলো বিশ্বভারতীর দেখা প্রয়োজন বলেও জানানো হয়।
উল্লেখ্য, শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট ছাত্র, কর্মী অধ্যাপক ও বিশ্বভারতীকে নিয়ে এই মেলা করে থাকে। ট্রাস্ট জানিয়েছে, লিখিতভাবে এখনও কিছু জানানো হয়নি। তবে বিশ্বভারতী যদি সহযোগিতা না করে তাহলে সে ক্ষেত্রে আমাদের রাজ্য সরকারের দ্বারস্থ হতে হবে বলে জানিয়েছে ট্রাস্ট।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *