Supreme Court : বিচারপতির বিরুদ্ধে অভিযোগ: তদন্ত চালাতে সুপ্রিম-নির্দেশ – allegation against calcutta high court judge supreme court order to conduct investigation


এই সময়: কলকাতা হাইকোর্টের এক বিচারপতি ও তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে একটি মামলার তদন্তে বাধা দেওয়ার যে অভিযোগ উঠেছিল, সেই ঘটনায় রাজ্য সিআইডিকে তদন্ত চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। শুক্রবার শীর্ষ আদালতের ডিভিশন বেঞ্চের কাছে তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে একটি রিপোর্ট জমা দেয় সিআইডি।

বিচারপতি সঞ্জীব খান্না ও বিচারপতি এসভিএন ভাট্টির বেঞ্চে শুনানি চলাকালীন রাজ্যের তরফে জানানো হয়, ওই বিচারপতির স্বামীকে ভারতীয় ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬০ ধারায় নোটিস পাঠানো হয়েছে। বিচারপতির নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আধিকারিককেও নোটিস পাঠিয়ে তলব করা হয়েছে। কিন্তু সেই নোটিস এখনও পর্যন্ত কার্যকর হয়নি।

এই তদন্তের জন্য কলকাতা হাইকোর্টের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজও চাওয়া হয়েছিল। সেই ফুটেজও পাওয়া যায়নি। তবে তদন্তের অগ্রগতি জানিয়ে একটি স্টেটাস রিপোর্ট মুখবন্ধ খামে জমা দেওয়া হয় সুপ্রিম কোর্টে। ডিভিশন বেঞ্চ সেই রিপোর্ট খতিয়ে দেখে জানিয়ে দিয়েছে, সিআইডিকে আইন মেনে এবং কোনও বাধার কাছে নতি স্বীকার না-করে তদন্ত চালিয়ে যেতে হবে।

আগামী বছর জানুয়ারি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে মামলাটি ফের শুনানির জন্য উঠবে। ওই দিন নতুন রিপোর্ট জমা দিতে হবে তদন্তকারী সংস্থাকে। সম্পত্তি সংক্রান্ত একটি মামলায় একটি পক্ষের হয়ে তদন্তকারী সংস্থার উপর চাপ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল কলকাতা হাইকোর্টের এক বিচারপতি ও তাঁর আইনজীবী স্বামীর বিরুদ্ধে।

তাঁরা তদন্তে বাধা দিচ্ছেন, এই অভিযোগ তুলে এবং নিরপেক্ষ তদন্তের দাবিতে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানানো হয়। মামলাকারী প্রবীণ বিধবার অভিযোগ, পৈতৃক সম্পত্তি থেকে তাঁকে জোর করে উৎখাত করতে চাইছেন তাঁর দাদা ও আরও কয়েকজন আত্মীয়। এজন্য তাঁকে হুমকি দেওয়া, খুনের চেষ্টার মতো ঘটনাও হয়েছে। সেইমতো তিনি পুলিশে দু’টি অভিযোগ দায়ের করেছিলেন।

Supreme Court : ভারতে নিষিদ্ধ পাক শিল্পী? মামলার শুনানিতে কী জানাল সুপ্রিম কোর্ট?
কিন্তু একাধিক জামিনঅযোগ্য গুরুতর ধারায় মামলা দায়ের হলেও তদন্ত এগোচ্ছে না। তাঁর দাবি, ওই আত্মীয়দের তরফে মামলাটি লড়ছেন এমন একজন আইনজীবী, যাঁর স্ত্রী কলকাতা হাইকোর্টের একজন বিচারপতি। সেই সুবাদে ওই আইনজীবী প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করছেন। এমনকী মামলার তদন্তকারী অফিসারকে বিচারপতি তাঁর অফিশিয়াল চেম্বারে ডেকে পাঠিয়ে তিরস্কার করেন।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *