West Bengal Recruitment : হুইল চেয়ারে নবান্ন অভিযান, মুখ্যমন্ত্রীর কাছে চাকরির আর্জির চেষ্টা! যুবকের কাণ্ডে থমকাল হাওড়া ব্রিজ – malda with trying to reach nabanna in wheel chair to meet cm mamata banerjee for government job


শিক্ষক থেকে পুরসভা, একাধিক ক্ষেত্রে নিয়োগে দুর্নীতি রাজ্যের অন্যতম জ্বলন্ত সমস্যা। নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে প্রায় প্রত্যেক দিনই সুর চড়াচ্ছে বিরোধীরা। অন্যদিকে ধর্মতলায় চলছে চাকরিপ্রার্থীদের ধরনা। নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে তোলপাড়ের মধ্যে অবাক করা ঘটনা। বিশেষভাবে সক্ষম মালদার চাকরিপ্রার্থীর কাণ্ডে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে হাওড়ায়।

হুইল চেয়ারে নবান্ন অভিযান

শারীরিকভাবে সক্ষমতা কম। ছোটবেলা থেকে দুই পা অচল। বিশেষ সক্ষম হলেও মানসিক জোর অটুট। তারই উদাহরণ মালদার মন্ডাই গ্রামের বাসিন্দা নিখিল সরকার। চাকরির আবেদন নিয়ে হাতটানা হুইল চেয়ারে নবান্ন অভিযান। হাওড়া ব্রিজে মালদার ওই চাকরিপ্রার্থী নিখিল সরকারকে আটকে দিল পুলিশ।

জানা গিয়েছে, বিশেষভাবে সক্ষম নিখিল সরকারি চাকরিপ্রার্থী। বিভিন্ন সরকারি চাকরির পরীক্ষা দিয়েও মেলেনি সাফল্য। এসএসসি পরীক্ষায় পাশ করলেও টেট পরীক্ষায় এক নম্বরের জন্য উত্তীর্ণ হতে পারেননি তিনি। কিন্তু চাকরির খুবই প্রয়োজন সংসার বাঁচাতে। বয়স অনুযায়ী এ বছরের পর চাকরির পরীক্ষার জন্য তিনি আর যোগ্য থাকবেন না।

TET Recruitment Case: ৩টে ২০ মিনিট ‘ডেডলাইন’, না হলে আদালত অবমাননা মামলা! পর্ষদ সভাপতিকে কড়া হুঁশিয়ারি বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের
সংসারের চরম অভাব নিখিলের

এক দিদিকে নিয়েই নিখিলের সংসার। ছোট থেকেই দুটি পা সচল না হওয়ায় হুইল চেয়ারই তার ভরসা। পড়াশোনায় অত্যন্ত মেধাবী নিখিল কখনও জীবন নির্বাহের জন্য ভিক্ষাবৃত্তির পথ বেছে নিতে চাননি। কারণ তিনি স্নাতকোত্তারের পাশাপাশি বিএড পাশ করেছেন। এই কারণেই তার চাই একটি চাকরি। শারীরিক প্রতিবন্ধকতা থাকলেও মনের জোর নিয়েই মালদার মন্ডাই গ্রাম থেকে নবান্নের উদ্দেশে রওনা দেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে চাকরির আবেদন করবেন বলে। ট্রেনে শিয়ালদা স্টেশনে নেমে পোস্টার সমেত হুইল চেয়ারে নবান্নের উদ্দেশে রওনা দেন তিনি। সঙ্গে তাঁর এক বন্ধু।

মহাত্মা গান্ধী রোড ও হাওড়া ব্রিজ পেরোলে তাঁকে আটকায় হাওড়া পুলিশ। তাই নবান্ন অবধি পৌঁছাতে পারেননি নিখিল। হাওড়া ব্রিজে পুলিশ তাকে থামিয়ে দেয়। পুলিশের মাধ্যমেই তিনি তাঁর বার্তা পৌঁছে দিতে চান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে।

কী বললেন নিখিল?

সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে নিখিল বলেন, ‘চাকরির জন্য মালদা থেকে আসছি। চাকরি না পেলে কোনও মূল্য থাকবে না। আমি অনেকদূর পড়াশোনা করেছি। চাকরি না থাকলে বেঁচে থাকার কোনও মূল্য থাকবে না। নবান্ন গিয়ে দিদির সঙ্গে দেখা করতে চাই। চাকরি না দিলে আমাকে আত্মহত্যার অনুমতি দিক। বাড়িতে শুধু আমার বয়স্ক দিদি রয়েছেন। এই বছরই আমার সরকারি চাকরি পাওয়ার শেষ বছর।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *