কী ঘটনা ঘটেছে?
বারাসতের নোয়াপাড়া এলাকায় থাকেন অপরাজিতা দাস। নিজের লিঙ্গ পরিবর্তনের জন্য চিকিৎসা করাচ্ছেন তিনি। আগে অচিন্ত্য দাস নামে তিনি পরিচিত ছিলেন। বারাসতের একটি বেসরকারি কলেজে অধ্যাপনার কাজ করেন তিনি। নিজের লিঙ্গ পরিবর্তনের জন্য শ্যামবাজারের কাছে একটি বেসরকারি হাসপাতালে তিনি চিকিৎসা করাতে চেয়েছিলেন ওই অধ্যাপিকা। হাসপাতালের ব্যাপারে ওয়েবসাইটে তথ্য জানতে গিয়েই প্রতারণার শিকার হয়েছেন তিনি।
কীভাবে হয় প্রতারণা?
সংশ্লিষ্ট হাসপাতাল সম্বন্ধে জানার জন্য তিনি ইন্টারনেটে ওয়েবসাইট ঘাঁটাঘাটি করছিলেন। সেই হাসপাতালের ওয়েবসাইটে নিজের সম্বন্ধে কিছু তথ্য আপলোড করেন তিনি। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই তাঁর মোবাইলে একটি কল আসে। সেই হাসপাতালের নাম নিয়ে তাঁকে কল করা হয়। একজন চিকিৎসকের অ্যাপয়েন্টমেন্ট সংক্রান্ত একটি লেটার পাঠানোর কথা বলা হয় ও প্রান্ত থেকে। ওই অধ্যাপিকার কাছে হোয়াটসঅ্যাপে একটি পেজ লিংক পাঠানো হয়। সেখানে দেওয়া নির্দিষ্ট একটি লিংকে ক্লিক করতে বলা হয়। লিংকে ক্লিক করার পর কিছু তথ্য শেয়ার করেন তিনি। এতক্ষণ পর্যন্ত তিনি প্রতারণার শিকার হচ্ছেন বুঝতে পারেননি ওই অধ্যাপিকা। এরপর তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে তুলে নেওয়া হয় প্রায় পাঁচ হাজার টাকা। পরে হাসপাতালে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, এরকম কোনও পেজ বা লিংকের বিষয় নেই হাসপাতালে।
প্রতারণার ব্যাপারে বুঝতে পেতে এরপর বারাসত থানা এবং সাইবার ক্রাইম পুলিশ বিভাগে যোগাযোগ করেন। সাইবার সেলে ইতিমধ্যে অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি। ওই অধ্যাপিকা মুম্বাইয়ের এক চিকিৎসকের অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিয়েছিলেন। সেই চিকিৎসক শ্যামবাজারের ওই হাসপাতালে প্রতি মাসে একদিন করে চিকিৎসা করতে আসেন। সেই কারণে হাসপাতাল সম্বন্ধে খোঁজ নিতে গিয়ে এবং অ্যাপয়েন্টমেন্ট সংক্রান্ত কাজ করতে গিয়েই প্রতারিত হয়েছে।
প্রসঙ্গত, কলকাতা ও তার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে বিভিন্ন উপায়ে সাইবার অপরাধের সংখ্যা বাড়ছে প্রতিদিনই। নানা কায়দায় বিভিন্ন জনের অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন প্রতারকরা। বিভিন্ন সাইবার অপরাধ চক্রের ব্যাপারে পুলিশের অনুসন্ধান চললেও নতুন নতুন উপায় অপরাধ নিয়ে চিন্তা বাড়ছে শহরবাসীর মনে।