কী জানা যাচ্ছে?
শুক্রবার ঘড়ির কাঁটায় রাত আটটা কুড়ি। দাসপুর সাগরপুরের রাস্তার পাশে একটি পুকুরের মাঝ বরাবর টর্চ লাইটের আলোর মতো তীব্র আলোর ছটা দেখা যায়। হলদে আভা দেখেই ভিড় জমান কৌতুহলী এলাকার বাসিন্দারা। খবর যায় দাসপুর থানার পুলিশের কাছে। তড়িঘড়ি এলাকায় পৌঁছয় দাসপুর থানার পুলিশ। মুহূর্তে খবর ছড়িয়ে যায় গোটা এলাকায়। ক্রমেই ভিড় বাড়তে থাকে পুকুরের চারপাশে।
শুরু আলোর সন্ধান খোঁজা
আলোর খোঁজ করতে গামছা পড়ে পুকুরে নেমে যান মজলিশপুরের স্বরূপ মাঝি, বড়শিমুলিয়ার সুরেন হেমরম ও স্থানীয় এক ব্যক্তি। তন্ন তন্ন করে চিরুনি তল্লাশি চালানো হয় মাঝপুকুর থেকে পুকুরের কিনারায়। তবে কোথাও আলোর হদিশ না পেয়ে প্রায় চার ঘণ্টা পর পুকুর থেকে উঠে আসেন তিন সন্ধানকারী।
কী জানালেন স্থানীয়রা?
পুকুর থেকে উঠে আসার পর সন্ধানকারীরা জানিয়েছেন, পুকুরের মাঝে যেখানে গরম আলো বেরোচ্ছিল, সেখানে যেতেই জলটা খুব গরম লাগে। তবে কি থেকে আলো বেরোচ্ছিল সেটা খুঁজে পাওয়া যায়নি। সন্ধান করে পুকুর থেকে উঠে আসার পরও দীর্ঘক্ষণ পুকুরপাড়েই বসে থাকেন কৌতুহলী জনতা। তবে দেখা মেলেনি সেই রহস্যময় আলোর।
স্থানীয় শিক্ষক কী জানাচ্ছেন?
স্থানীয় পদার্থবিদ্যার শিক্ষক তাপস দোলুই জানিয়েছেন, পচা পুকুরে অনেক সময় মিথেন গ্যাস তৈরি হয়। তা বায়ুর সংস্পর্শে এসে জ্বলে যায়। কিন্তু ওই পুকুরে মিথেন গ্যাস তৈরি হওয়ার মত পরিবেশ নেই বলেও জানিয়েছেন পদার্থবিদ্যার এই শিক্ষক। তাহলে রহস্যময় আলো এলো কোথা থেকে! এ প্রশ্নই এখন ঘুরপাক খাচ্ছে এলাকার মানুষদের মধ্যে। অনেকেই আবার বিষয়টিকে মহাজাগতিক কোনও বিষয় বলে উল্লেখ করছেন। ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে এলাকা জুড়ে তৈরি হয়েছে তীব্র চাঞ্চল্য। যদিও, কাল রাতের পর থেকে আর ওই আলোর ছটা দেখা যায়নি বলে জানানো হয়েছে।