কী জানা যাচ্ছে?
লালগড়ের নেতাই গ্রামে মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়র ইনসাফ যাত্রার আগে নেতাই এর ঘটনার ইনসাফ চেয়ে গ্রাম জুড়ে পোস্টারিং করল নেতাই শহীদ স্মৃতি রক্ষা কমিটি। যার জেরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। নেতাই শহীদ স্মৃতির রক্ষা কমিটির দাবি, ২০১১ সালের ৭ ই জানুয়ারি নেতাই গ্রামে নির্বিচারে ৪ মহিলা সহ মোট ৯ জনকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল। ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছিল সিপিএমের অনুজ পান্ডে, ডালিম পান্ডে, রথীন দন্ডপাট সহ তাবড় তাবড় নেতারা। বর্তমানে তাদের বেশিরভাগ এখন জেল থেকে বেরিয়ে স্বাভাবিক জীবনযাপন করছেন।
পোস্টার নিয়ে বিতর্ক
নেতাই শহীদ স্মৃতি রক্ষা কমিটির দাবি, ছাড় পাওয়া নেতাদের অনেকে আবার রাজনীতিও করছেন। সেই জায়গায় নেতাই গণহত্যার ঘটনায় যারা গ্রেফতার হয়েছিল তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এখনও হয়নি। তাই নেতাই গণহত্যার ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়র কাছে ইনসাফ চেয়ে নেতাই গ্রাম জুড়ে পোস্টারিং করা হয়েছে নেতাই শহীদ স্মৃতি রক্ষা কমিটির পক্ষ থেকে।
সোমবার ঝাড়গ্রাম জেলার লালগড় থানার অন্তর্গত নেতাই গ্রাম থেকে ইনসাফ যাত্রা শুরু করার কথা ছিল মীনাক্ষীর । নেতাই গ্রাম থেকে লালগড় পর্যন্ত পদযাত্রা রয়েছে তাঁর। তারপর লালগড় এসআই চকে পথসভা রয়েছে মীনাক্ষীর । কিন্তু নেতাই গ্রামে মীনাক্ষী আসার আগেই নেতাই গ্রামে ইনসাফ চেয়ে পোস্টারিংকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।
কী বলছেন কমিটির সদস্যরা?
নেতাই শহীদ স্মৃতি রক্ষা কমিটির সভাপতি নন্তু অধিকার বলেন, ‘২০১১ সালের ৭ই জানুয়ারি নির্বিচারে গুলি চালিয়ে ৪ মহিলা সহ মোট ৯ জনকে যারা হত্যা করল তাদের হাত ধরেই আজ নিতাই গ্রামে ইনসাফ যাত্রা করতে আসছে মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। ওঁর কাছে আমাদের একটাই প্রশ্ন যারা নির্বিচারে হত্যা করেছে তাদের কবে ইনসাফ হবে।’ তাঁদের কথায়, এরা পদযাত্রা করতে নয়, এরা দুর্যোগ নিয়ে আসছে নেতাই গ্রামে।
নিতাই গ্রামে ইনসাফ চেয়ে পোস্টারিং প্রসঙ্গে ডিওয়াইএফআই এর রাজ্য সম্পাদিকা মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘যে কোনও অন্যায় অত্যাচারের বিরুদ্ধে ডিওয়াইএফআই লড়েছে। নিতাই এর ঘটনা বিচারাধীন। বিচারে যা প্রমাণ হবে তা হবেই কিন্তু এই ধরনের ঘটনা মেদিনীপুর জেলাতে মাওবাদী , তৃণমূল টাকা পয়সা জোগাড়কারীরা এবং গোটা পশ্চিমবঙ্গের বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তিরা একযোগে এখানে মানুষের নিধন যজ্ঞ চালিয়েছিল মূলত বামেদের উপর অত্যাচারের বিরুদ্ধে আমরা রয়েছি।