Jaldapara National Park : নয় ঘণ্টার অভিযানে জল, ফের পগারপার সুন্দর – the forest workers could not catch the elephant named sundar in jaldapara national park


এই সময়, আলিপুরদুয়ার: সাত মন তেল পুড়ল বটে, রাধা কিন্তু নাচল না! হাতের নাগালে চলে এসেও শেষ মুহূর্তে ফসকে গেল সুন্দর। জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের ‘মস্তি’তে থাকা কুনকি হাতি। রবিবার সকাল ৬ টা থেকে বিকেল ৩ টে পর্যন্ত পণ্ডশ্রম করার পর রণে ভঙ্গ দিতে বাধ্য হলেন পরিশ্রান্ত বনকর্মীরা। দিনভর সুন্দরকে ধাওয়া করে দিনের শেষে খিদে-তেষ্টায় ক্লান্ত হয়ে পড়েছিল অভিযানে নামা কুনকি হাতিরাও।

শনিবার ওই দামাল হাতিকে ব্যাঙডাকির কাছে দেখা গেলও, রবিবার সে অবস্থান বদল করে প্রায় চার কিলোমিটার পশ্চিমে কুঞ্জনগরের দিকে চলে এসেছিল। গভীর জঙ্গলে সুন্দরের উপস্থিতি টের পাওয়া মাত্রই, অত্যন্ত সাবধানে ১৬টি কুনকি হাতির সাহায্যে এলাকাটিকে চারপাশ থেকে ঘিরে ফেলার কাজ শুরু করা হয়।

এ দিন ঠিক বেলা সাড়ে বারোটার সময় পুরোপুরি ঘেরাও হয়ে যায় হাতিটি। ঘুমপাড়ানি গুলি ছোড়ার বন্দুক তাক করে শেষ প্রস্তুতিও সেরে ফেলেছিলেন শ্যুটাররা। আচমকাই সবার চোখে ধুলো দিয়ে দুই কুনকি হাতিকে পাশ কাটিয়ে পগারপার হয়ে যায় সুন্দর। চোখের নিমেষে সে গভীর জঙ্গলে মিলিয়ে যায়, তারপর টানা তিন ঘণ্টা চিরুনি তল্লাশি চালিয়েও তার টিকির নাগাল আর পাওয়া যায়নি। বিফলে যায় টানা নয় ঘণ্টার টানটান অভিযান।

স্বাভাবিক কারণেই দিনের শেষে সুন্দরের দস্যুপনায় রীতিমতো হতাশ বনকর্তারাও। কারণ বেশ কয়েক দিন ধরে প্রস্তুতি নিয়ে রবিবার জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের কোনায় কোনায় থাকা পিলখানাগুলি থেকে ১৬ টি কুনকি হাতিকে এক জায়গায় নিয়ে আসা হয়েছিল। তাতে একদিকে যেমন সময় অপচয় হয়েছে, অন্যদিকে বাড়তি অর্থও খরচ হয়েছে।

সঙ্গে জুটেছে জঙ্গল পথে ছোটাছুটি করার অসম্ভব পরিশ্রম। সুন্দরের তুর্কি নাচনে বিভ্রান্ত জলদাপাড়া বনবিভাগের কর্তা থেকে সাধারণ কর্মীরাও। এখন ঠিক কী উপায়ে ওই বাউন্ডুলে কুনকিকে বাগে আনা যাবে, তাই নিয়েই গভীর উদ্বেগ তৈরি হয়েছে জলদাপাড়ার জঙ্গলমহলে। আগামীতে ঠিক কোন পরিকল্পনা নিয়ে সুন্দরকে কয়েদ করা যাবে, তা ভাবতে বসেই খেই হারিয়ে ফেলছেন সবাই। জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের সহকারী বন্যপ্রাণী সংরক্ষক নভোজিত দে বলেন, ‘আমাদের রবিবারের দিনভর অভিযান জলে গিয়েছে। এবার আবার নতুন করে ভাবতে হবে। এই মুহূর্তেই ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে কিছু বলা সম্ভব হচ্ছে না।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *