মেলার আয়োজন কেমন?
৫ ডিসেম্বর থেকে এই মেলার আয়োজন শুরু করা হচ্ছে। মেলা চলবে আগামী ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত। জেলা ভিত্তিক এই জব ফেয়ারের আয়োজন করা হচ্ছে। এই মেলায় অংশগ্রহণ করার জন্য পলিটেকনিক, আইটিআই প্রশিক্ষিতদের নাম নথিভুক্ত করা হবে। আইটিআই থেকে বিভিন্ন কারিগরি কোর্সের ডিপ্লোমা ও সার্টিফিকেটধারীদের পাশাপাশি বৃত্তিমূলক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (ভিটিসি) সফল প্রার্থীরাও এই মেলায় অংশ গ্রহণ করতে পারবেন।
আসছেন কারা?
কারিগরী শিক্ষা দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, TATA, L&T-র মতো বড় কোম্পানিগুলি এই মেলায় অংশ গ্রহণ করতে চলেছে। অন্যান্য রাজ্য থেকেও একাধিক নামী নেওয়ার জন্য এই মেলায় অংশ নেবে। জানা গিয়েছে, দক্ষিণ ভারতের একটি বস্ত্র কোম্পানি প্রায় ২০০ চাকরি প্রার্থীর খোঁজে এই মেলায় অংশ নেবে।
কারিগরী শিক্ষা দফতর সুত্রে খবর, গত বছর জেলা ভিত্তিক যে মেলা হয়েছিল, তাতে কারিগরী প্রশিক্ষিতদের মধ্যে প্রায় ৮ হাজারের বেশি যুবক – যুবতী কাজের সন্ধান পেয়েছেন। এবার সেই সংখ্যা যাতে বাড়তে পারে সেই লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে এই জব ফেয়ারের আয়োজন করা হচ্ছে।
মূলত, উচ্চমাধ্যমিক উত্তীর্ণ হওয়ার পর অনেক পড়ুয়ারা কারিগরী শিক্ষার দিকে এগোচ্ছেন কর্ম সংস্থানের আশায়। অষ্টম শ্রেণি উত্তীর্ণ হওয়ার পরেও অনেক ধরনের কারিগরী শিখার বা কোর্সের চাহিদা রয়েছে ভালোই। পাশাপাশি, বৃত্তিমূলক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (ভিটিসি) সফল প্রার্থীরাও এই চাকরির মেলায় অংশ নিতে পারছেন। শিক্ষা দফতর সুত্রে খবর,বৃত্তিমূলক শাখায় উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সংখ্যা এখন ৪০ হাজারের বেশি। সেই কারণে জেলাভিত্তিক এই জব ফেয়ারের মাধ্যমে যত বেশি সংখ্যক সম্ভব, প্রশিক্ষিত পড়ুয়াদের চাকরি দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলেই কারিগরী শিক্ষা দফতর সুত্রে জানানো হয়েছে।