এই সময়: কল্যাণী এইমস হাসপাতালে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এক ‘মধ্যস্থতাকারীকে’ গ্রেপ্তার করল সিআইডি। রবিবার কল্যাণীর গয়েশপুর থেকে গ্রেপ্তার করা হয় সোমনাথ বিশ্বাসকে। অভিযোগ, তিনি টাকার বিনিময়ে এইমস-এ চাকরি পাইয়ে দেওয়ার চক্রে জড়িত রয়েছেন। নিয়োগ দুর্নীতিতে এ রাজ্যের বিজেপি নেতাদের সঙ্গে তাঁর কোনও যোগসূত্র রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখছে সিআইডি। চলতি সপ্তাহে বিজেপি বিধায়ক নীলাদ্রিশেখর দানা এবং বঙ্কিম ঘোষকে ভবানী ভবনে ফের তলব করা হয়েছে। তাঁরা হাজিরা দিলে সোমনাথের মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদও করা হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে।
সিআইডি সূত্রে খবর, রবিবার অভিযুক্ত সোমনাথ বিশ্বাসকে কল্যাণী আদালতে পেশ করা হলে বিচারক তাঁকে ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন। আপাতত সোমনাথের ঠাঁই ভবানীভবনে। নিয়োগ দুর্নীতিতে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। রবিবার হালিশহরের বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালান সিআইডি অফিসারেরা। অভিযোগ, ধৃত সোমনাথ বিশ্বাস প্রায় ১ কোটি টাকার প্রতারণা করেছেন। হাসপাতালের নিরাপত্তারক্ষী থেকে শুরু করে গ্রুপ-সি, গ্রুপ ডি-সহ নানা পদে চাকরি দেওয়ার নামে তিনি টাকা তুলেছেন।
সিআইডি সূত্রে খবর, রবিবার অভিযুক্ত সোমনাথ বিশ্বাসকে কল্যাণী আদালতে পেশ করা হলে বিচারক তাঁকে ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন। আপাতত সোমনাথের ঠাঁই ভবানীভবনে। নিয়োগ দুর্নীতিতে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। রবিবার হালিশহরের বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালান সিআইডি অফিসারেরা। অভিযোগ, ধৃত সোমনাথ বিশ্বাস প্রায় ১ কোটি টাকার প্রতারণা করেছেন। হাসপাতালের নিরাপত্তারক্ষী থেকে শুরু করে গ্রুপ-সি, গ্রুপ ডি-সহ নানা পদে চাকরি দেওয়ার নামে তিনি টাকা তুলেছেন।
স্থানীয় সূত্রে খবর, সোমনাথ বিভিন্ন জনের থেকে টাকা তুললেও, অনেককেই চাকরি করিয়ে দিতে পারেননি তিনি। যাঁরা চাকরি পাননি, তাঁদের সঙ্গে কথা বলেন সিআইডির গোয়েন্দারা। চাকরিপ্রার্থীদের প্রতিশ্রুতি দিয়ে কী ভাবে টাকা তোলা হয়েছিল, সে বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য পান গোয়েন্দারা। সেই তথ্যের ভিত্তিতে অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলেও, তিনি সদুত্তর দিতে পারেননি।
এর পরই এদিন তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। এদিন অভিযুক্তকে আদালতে পেশ করা হলে তাঁর আইনজীবী দাবি করেন, মক্কেলকে ফাঁসানো হয়েছে। সিআইডির তরফে জানানো হয়, এইমসে নিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রতারণায় অভিযুক্ত সোমনাথ। তাঁর সঙ্গে আরও অনেকে জড়িত থাকতে পারে, তাই হেফাজত প্রয়োজন। দু’পক্ষের বক্তব্য শোনার পর অভিযুক্তকে ১৪ দিনের সিআইডি হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।