Poush Mela Shantiniketan : আশা জাগিয়েও নিরাশা! শান্তিনিকেতনে এবারও পৌষমেলা নয় – visva bharati and shantiniketan trust cancel poush mela 2023 know reason


সময়ের অভাবে শান্তিনিকেতনের ঐতিহ্যবাহী পৌষমেলা করা সম্ভব নয়, এমনটাই স্পষ্ট করল বিশ্বভারতী ও শান্তি নিকেতন ট্রাস্ট। তিন বছর পর ফের পৌষমেলা হতে পারে, এই সিদ্ধান্তের কথাই জানানো হয়েছিল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে।

কোন কোন কারণের জন্য পৌষ মেলা বাতিল করা হয়েছে?
সময়ের অভাবে শান্তিনিকেতনের ঐতিহ্যবাহী পৌষমেলা করা সম্ভব নয়, এমনটাই স্পষ্ট করল বিশ্বভারতী ও শান্তি নিকেতন স্ট্রাস্ট। এই ঘোষণার পর স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে।

তিন বছর পর ফের পূর্বপল্লির মাঠে পৌষমেলা করা হতে পারে, কিছুদিন আগে এই সিদ্ধান্তের কথাই জানানো হয়েছিল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে। এরপরেই হোটেল ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে স্থানীয় অন্যান্য ব্যবসাদারদের মধ্যেও খুশির হাওয়া ছড়িয়ে পড়ে। কিন্তু, এই ঘোষণার একদিনের মাথাতেই তৈরি হয় নতুন জটিলতা। কোনওভাবেই ছোট করে মেলা সম্ভব নয়, এমনটাই জানানো হয়েছিল শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের পক্ষ থেকে।

এরপরেই শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট এবং বিশ্বভারতীর পক্ষ থেকে একটি যৌথ বিবৃতি দেওয়া হয়। সেখানে বলা হয়- ৪ ডিসেম্বর এই নিয়ে একটি বৈঠক হয়। আর সেখানেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে সদিচ্ছা থাকলেও পৌষ মেলা করা সম্ভব নয়।

কোন কোন কারণের জন্য পৌষ মেলা বাতিল করা হয়েছে?
পর্যাপ্ত সময়ের অভাব
এই প্রসঙ্গে আনুষ্ঠানিক একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘মেলার জন্য যে সময় বাকি রয়েছে তা আয়োজনের জন্য অত্যন্ত কম।’ পৌষ মেলার আগে হাতে সময় ‘কম’। আর এই বিষয়টিকে সামনে রেখেই বলা হয়েছে, ‘মেলা চত্বরের মধ্য়ে থাকা জলাধার পরিষ্কার করা,বিদ্যুতের ব্যবস্থা, সুরক্ষা ইত্য়াদির আয়োজন করা প্রয়োজন। আর এই বিপুল আয়োজন পৌষ মেলার আগে এক কম সময়ে করা সম্ভব নয়।’ এই জেলাস্থলে মোট চার চারটি জলাশয় রয়েছে। দীর্ঘদিন তা পরিষ্কার করা হয়নি। তা পরিষ্কারের জন্য সময়ের প্রয়োজন বলা হয়েছে।

অলাভজনক

এছাড়াও শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের সদস্যরা জোর দিয়ে দাবি করেন, ছোট এবং প্রতীকী মেলা অর্থনৈতিকভাবে অলাভজনক।

নির্দেশ
যেতেহু পৌষ মেলা মাঝে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল সেক্ষেত্রে NGT-র থেকে নতুন নির্দেশেরও প্রতীক্ষা করা হচ্ছে।

Poush Mela : পৌষ মেলার ছোট আয়োজনে আপত্তি, একগুচ্ছ দাবি নিয়ে বেঁকে বসল শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট
অনলাইন বুকিংয়ে জটিলতা
পাশাপাশি স্টল বুকিং থেকে শুরু করে পুরো প্রক্রিয়াটিই অনলাইনে করতে আগ্রহী ছিল কর্তৃপক্ষ। মূল লক্ষ্য ছিল স্বচ্ছতা। আর সেই জন্য নতুন সফটওয়ারের প্রয়োজন ছিল। সেই জন্য ভরসা ছিল খড়গপুর আইআইটি। ২০১৯ সালে তারা যে সফটওয়ার তৈরি করে তার মেয়াদ তিন বছর ছিল। তা নতুন করে করতে অনুরোধ করা হয়েছিল। তবে শেষ পর্যন্ত তা সম্ভব হয়নি।

এই পাঁচ কারণের জন্যই মেলা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই সিদ্ধান্তে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মধ্যে শোনা গিয়েছে ক্ষোভের সুর।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *