কী বললেন বিজেপি বিধায়ক?
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এদিন বিজেপি বিধায়ক বলেন, ‘বারবার ডাকুক কোনও সমস্যা নেই। নীলাদ্রি দানা নেতা তৈরি হওয়ায় অনেকে সহ্য করতে পারছে না। কর্মীরা আমরা পাশে দাঁড়াচ্ছে। জনগণের সামনেই সবটা হচ্ছে। বিজেপি করার জন্য একটা লোককে হেনস্থা করা হচ্ছে। বাংলার এই চোর সরকার এর থেকে বেশি কিছু করবে না। আমার বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ প্রমাণ করতে পারলে বিজেপির পতাকা ছেড়ে নির্বাসনে চলে যাব।’
কল্যাণী এইমসে বিধায়কের মেয়ে মৈত্রী দানার চাকরি নিয়ে যাবতীয় বিতর্কের সূত্রপাত। মেয়ের চাকরি নিয়েও এদিন মুখ খুলেছেন বিজেপি বিধায়ক। তিনি বলেন, ‘বিধায়কের মেয়ে হয়েও রাজনীতির বাইরে গিয়ে নিজের পথ দেখার চেষ্টা করেছে। নো ওয়ার্ক নো পে-র চাকরি করছে। আমি এতে খুবই গর্বিত ও মেয়েকে ধন্যবাদ জানাই। আমি কখনই চাইনি মেয়ে এই ধরনের চাকরি করুক। কিন্তু স্বাবলম্বী হওয়ার জন্য সেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সেই কারণে যতবার ডাকবে ততবার যাব, আদালতে জবাব দেব। যতবার ডাকবে, ততবার যাব।’
২ বিজেপি বিধায়কের নাম জড়ায়
শিক্ষা নিয়োগ দুর্নীতি জড়িত থাকার অভিযোগে জেলে রয়েছেন একাধিক তৃণমূলরে নেতামন্ত্রী। অন্যদিকে কল্যাণী এইমসে প্রভাব খাটিয়ে পরিবারের সদস্যদের চাকরি দেওয়ার ঘটনায় নাম জড়ায় বাঁকুড়ার নীলাদ্রি দানা ও চাকদার বিধায়ক বঙ্কিম ঘোষের। অমিত শাহের বঙ্গ সফর শেষ হওয়ার পরই দুই বিধায়ককে ভবানী ভবনের সিআইডি সদর দফতরে তলব করা হয়। ৪ ডিসেম্বর মঙ্গলবার তাঁদের হাজির হতে বলা হয়েছে। নীলাদ্রির বিরুদ্ধে তাঁর মেয়ে ও বঙ্কিমের বিরুদ্ধে তাঁর পুত্রবধূকে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
কল্যাণী এইমসে নিয়োগে বেনিয়মে নাম জড়িয়েছে দুই বিজেপি সাংসদের। রানাঘাটের জগন্নাথ সরকার ও বাঁকুড়ার সুভাষ সরকারেরও নাম জড়িয়েছে। মঙ্গলবার দুই বিজেপি বিধায়ক ভবানী ভবনে হাজিরা দেন কি না, সে দিকে নজর থাকবে। তদন্তে নতুন কোনও দিক উঠে আসে কি না, সেটাই এখন দেখার।