কিন্তু, পুরসভার জঞ্জাল ও অপসারণ বিভাগের কাছে খবর পৌঁছয়, শহরের বড় অংশের বাসিন্দারা ওই পাত্র ব্যবহার না করে, সব বর্জ্য এক পাত্রে জমিয়ে তারপর ফেলছেন গাড়িতে। এবার তাই বর্জ্য পৃথকীকরণ ব্যবস্থাপনাকে নিশ্চিত করতে প্রতিদিন সকালে বিভাগীয় আধিকারিকদের তিন ঘণ্টা করে পাড়ায়-পাড়ায় ঘোরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সোমবার এই পরিকল্পনাকে কার্যকর করতে জঞ্জাল অপসারণ বিভাগের আধিকারিকরা উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকও করেন। সূত্রের খবর, ওই বৈঠকে আধিকারিকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, সাফাই কর্মীরা সকালে যখন বাড়ি-বাড়ি জঞ্জাল সংগ্রহে যাবেন, সেই সময়ে আধিকারিকদেরও ওই পাড়ায় হাজির থাকতে হবে। নীল ও সবুজ বালতি জঞ্জাল সংগ্রহের জন্য কোনও বাসিন্দা ব্যবহার না করলে, সঙ্গে সঙ্গে পুর আধিকারিক তাঁর কাছে কারণ জানতে চাইবেন।
এরপর ওই বাসিন্দাকে বুঝিয়ে বলা হবে নীল ও সবুজ বালতির কার্যকারিতা। একবারে কাজ না হলে ফের ওই পাড়ায় যাবেন পুর আধিকারিকরা। বর্জ্য পৃথকীকরণ ব্যবস্থাপনার নিয়ম অনুযায়ী, নীল রঙের বালতিতে রাখার কথা সব্জির খোসা, ডিমের খোসা, খাবারের উচ্ছিষ্ট, মাছের আঁশের মতো পচনশীল বর্জ্য।
আর সবুজ বালতিতে রাখতে হবে, কাচ বা ভাঙা পাত্রের টুকরো, ধুলো, প্লাস্টিক, ইলেকট্রনিক্স জিনিস পত্রের ভাঙা অংশের মতো অপচনশীল বর্জ্য। বর্জ্য পৃথকীকরণ ব্যবস্থা কলকাতা পুরসভা প্রথমে শুরু করেছিল ২৭টি ওয়ার্ডে। এখন ১৪৪টি ওয়ার্ডেই এই ব্যবস্থা চালু হতে চলেছে। সব মিলিয়ে শহর জুড়ে কলকাতা পুরসভা প্রায় তিরিশ লক্ষের মতো বালতি ও বিলি করেছে বলে জানা গিয়েছে।
কলকাতা পুরসভার জঞ্জাল ও অপসারণ বিভাগের মেয়র পারিষদ দেবব্রত মজুমদার বলেন,’বর্জ্য পৃথকীকরণ ব্যবস্থাপনা এমন একটা কাজ যার উপরে গোড়া থেকে নজরদারি না করলে বাস্তবায়িত করা কঠিন। তাই বাড়ি-বাড়ি গিয়ে বাসিন্দাদের বোঝানোর জন্য বিভাগীয় পুর আধিকারিকদের প্রতিদিন সকালে পাড়ায়-পাড়ায় আড়াই থেকে তিন ঘণ্টা করে ঘোরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার থেকেই এই কাজ শুরু করতে বলা হয়েছে।’