Toll Tax Payments : কাঠের ব্রিজে টোল ট্যাক্স, বাইকের ‘ফিক্সড রেট’! হাঁটলেও দিতে হবে টাকা – kultali trinamool congress panchayat allegedly taking money from people in the name of toll tax


কাঠের সেতু পারাপার করতে দিতে হচ্ছে টোল। কোনও লিখিত নির্দেশিকা ছাড়াই চলছে এই কাজ। ছাত্রছাত্রী থেকে শুরু করে গর্ভবতী মহিলা, সবাইকে এই টোল দিয়েই সেতু পারপার করতে হচ্ছে। সেতু পার না হলে ১৫ কিলোমিটার অতিরিক্ত ঘুরে যেতে হবে জামতলা বাজার বা ব্লক হাসপাতালে। কুলতলি ব্লকের দেউলবাড়ি দেবীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘটনা। এই ঘটনায় আঙুল উঠেছে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস দিকেও। এই ঘটনায় প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। স্থানীয় পঞ্চায়েতকে কাঠগড়ায় তুলেছেন এলাকার বাসিন্দারা।

কী ঘটনা?

মাধবপুর এলাকায় ঠাকুরান নদীর উপর তৈরি করা হয়েছে এই কাঠের ব্রিজ। সেই ব্রিজ পারপারের জন্য নেওয়া হচ্ছে টাকা। জানা গিয়েছে, বার্ষিক ২ লাখ ২ হাজার টাকা বরাত দেওয়া হয়েছে এই সেতুর জন্য। ৷ প্রায় ১০টি গ্রামের বাসিন্দা বাধ্য হয়ে এই সেতু দিয়ে পারাপার করেন ৷ বাইক নিয়ে পারাপার করলে দিতে হয় ১৫ টাকা ৷ পায়ে হেঁটে গেলে দিতে হয় ৭ টাকা ৷ পড়ুয়াদেরও টাকা দিতে হয় বলে অভিযোগ। পরিষেবা দেওয়া যে পঞ্চায়েতের কাজ, তারা কোনওরকম লিখিত চুক্তি ছাড়াই সেতুতে কীভাবে যাতায়াতের ক্ষেত্রে টাকা নেওয়ার নির্দেশ দিল সেই নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।

বরাত পাওয়া সংস্থার কর্মীদের দাবি, সেতুর রক্ষণাবেক্ষণের জন্য এই টাকা নেওয়া হচ্ছে। তবে এই কথা মানতে নারাজ স্থানীয়রা। এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, তাঁরা বহুদিন ধরে শুনে আসছেন এই জায়গায় কংক্রিটের সেতু তৈরি করা হবে ৷ মাঝেমধ্যে ইঞ্জিনিয়াররা এসে মাপজোকও করে যান ৷ কিন্তু তারপর আর কোনও কাজ এগোয় না ৷ বেআইনিভাবে মানুষের উপর বোঝা চাপিয়ে এইভাবে টাকা তোলার নিন্দায় সরব হয়েছেন এলাকাবাসী। এই ঘটনা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতর।

শুরু রাজনৈতিক তরজা

তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলছে বিরোধীরা। এই ঘটনায় তৃণমূলকে কটাক্ষ করেছে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী। তিনি বলেন, ‘কুলতলিতে ব্রিজ পারাপারে জন্য টেন্ডার ডেকে টাকা তোলা হচ্ছে। টাকা কিন্তু সরকার তুলছে না, তৃণমূল তুলছে। লোকে যাতায়াত করবে, তার জন্যও টাকা দিতে হবে। জেলাশাসক, বিডিও থেকে শুরু করে পুলিশ সুপার, সবাই জানে। কিন্তু তৃণমূলের নেতা বলে সবাই চুপ।’

কুলতলি ব্লক পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি রূপা সর্দার বলেন, ‘সংবাদমাধ্যমের কাছে প্রথম শুনলাম। আমার এটা জানা ছিল না। অভিযোগ তদন্ত করে দেখতে হবে। স্থানীয় প্রধানের সঙ্গে কথা বলব। যদি সেতু পারাপারের জন্য টাকা নেওয়া হয়ে থাকে, সেটা অন্যান্য। প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে। সাধারণ মানুষের থেকে এইভাবে টাকা নেওয়া যায় না।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *