সন্দেহ লোহাচোর, বাকবিতন্ডা শুরু হতেই ভয়ংকর কাণ্ড করল যুবক |Man beaten to death Chandannagar at the wee hour of morning


বিধান সরকার: সাতসকালে যুবককে পিটিয়ে মারার অভিযোগ উঠল স্থানীয় এক যুবকের বিরুদ্ধে। নিহত যুবকের নাম সেখ নজরুল। মঙ্গলবার সকালে ওই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে চন্দননগরের হরিজন পল্লীর স্বাগতম লজের কাছে। অভিযোগ, স্থানীয় যুবক ভোলার মারেই মৃত্যু হয়েছে লোহালক্কড় ব্যবসায়ী নজরুল।

আরও পড়ুন-ইন্ডিয়া জোটের বৈঠক বাতিল নয়, এমাসেই মমতা-নীতীশদের সঙ্গে বৈঠকে সোনিয়া-রাহুল

স্থানীয় ও পুলিস সূত্রে খবর, নজরুল ও তার ছেলে রাহুল টোটোয় চাপিয়ে লোহার কিছু যন্ত্রাংশ নিয়ে যাচ্ছিল হরিজন পল্লীর উপর দিয়ে। সেই সময় ওই রাস্তা দিয়ে ফুল বিক্রি করতে যাচ্ছিলেন ভোলা। নজরুলকে দেখেই তার টোটোয় থাকা মালপত্র চোরাই বলে মনে হয়। এনিয়ে দুজনের মধ্যে বচসা শুরু হয়ে যায়। এর মধ্যেই নজরুলের ছেলে টোটো নিয়ে চলে যায়। অভিযোগ, স্বাগতম লজের সামনে রাস্তায় ফেলে নজরুলের বুকে পেটে লাথি মারে ভোলা। ঘটনাস্থলেই সংজ্ঞাহীন অবস্থায় সে পড়ে থাকে।

এদিকে, ওই পথেই ফিরে আসছিল রাহুল। সে নজরুলকে অচতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে। স্থানীয় লোকজন নজরুলকে নিয়ে যায় চন্দননগর মহকুমা হাসপাতালে।  সেখানেই নজরুলকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিত্সকেরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় চনন্দনগর থানার পুলিস।  ডিসি চন্দননগর ঈশানী পালের নেতৃত্বে বিশাল পুলিস বাহিনী। জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় স্থানীয় মানুষজনকে।

মৃত ব্যক্তির ছেলে সেখ রাহুলের জানায়, দিল্লির রোডের ধারে একটি কারখানায় কাজ করতেন তার বাবা। এছাড়া লোহার পুরোনো যন্ত্রাংশ কিনে পরে সেগুলো বিক্রি করতেন। সকালে সেই যন্ত্রাংশ নিয়ে লালদীঘির পাড় ধরে হরিজন পল্লী দিয়ে যাওয়ার সময় ফুল ব্যবসায়ী ভোলা গাড়ি দাঁড় করিয়ে বলে এটা চুরির জিনিস কোথায় নিয়ে যাচ্ছিস? বাবাকে মারধর শুরু করে। আমি ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যাই। মামাকে সঙ্গে করে ফের ঘটনাস্থলে এলে তখন দেখি বাবা রাস্তার উপরে পড়ে রয়েছে। হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক বলে বাবার মৃত্যু হয়েছে।

নির্দিষ্ট কী কারণে এই ঘটনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিস। আটক অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)

 

 





Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *