ইমারতি ব্যবসা নিয়ে মহেশতলায় রাতভর তাণ্ডব, চলল বোমা-গুলিও – maheshtala became heated due to the dispute over the construction trade in


এই সময়: ইমারতি ব্যবসার দ্বন্দ্বকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠল মহেশতলার রবীন্দ্র নগরের তমিজউদ্দিন মিস্ত্রি লেন সংলগ্ন এলাকা। স্থানীয়দের অভিযোগ, সোমবার সারা রাত ধরে দুই পক্ষের মধ্যে চলে গুলির লড়াই। বোমাবাজিও চলে দফায়-দফায়। আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে দু’পক্ষকে দাপাদাপি করতেও দেখা যায়। বেশ কিছু বাড়ির জানলার কাচও ভাঙা হয় বলে অভিযোগ।

মঙ্গলবার সকালেও রাস্তায় তাজা বোমা পড়েছিল বলে এলাকার বাসিন্দারা জানান। পুলিশ গিয়ে সেই বোমা উদ্ধার করে। সংঘর্ষে দুই পক্ষের অন্তত ৯ জন জখম হন। স্থানীয়দের অভিযোগ, রাস্তায় লাগানো সিসিটিভির ক্যমেরাও ভেঙে দিয়েছে দুষ্কৃতীরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এলাকায় র‍্যাফ নামে।

যুযুধান দু’পক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছে। ডায়মন্ডহারবার জেলা পুলিশের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক জানান, ঘটনার তদন্ত চলছে। এলাকায় পুলিশি টহল রয়েছে। যদিও ওই কর্তা দাবি করেন, ‘গুলি চালানোর কোনও ঘটনা ঘটেনি।’

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তাণ্ডবে অভিযুক্ত দুই পক্ষই শাসক দলের ঘনিষ্ঠ। যদিও মহেশতলার বিধায়ক তথা পুরসভার চেয়ারম্যান দুলাল দাস বলেন,’এই ঘটনার সঙ্গে দলের কোনও সম্পর্ক নেই। এসব সমাজবিরোধীদের কাজ। পুলিশ তদন্ত করে দোষীদের চিহ্নিত করুক।’

স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, তমিজউদ্দিন মিস্ত্রি লেন লাগোয়া একটি মাঠে ইমারতি দ্রব্য রাখা নিয়ে স্থানীয় দুই সিন্ডিকেটের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে ঝামেলা চলছিল। সোমবার রাত সাড়ে এগারোটা নাগাদ ওই মাঠে বালি ফেলা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে নতুন করে বচসা শুরু হয়। বেশ কিছুক্ষণ উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ের পরেই দু’পক্ষ মারমুখী হয়ে ওঠে। এলাকা জুড়ে শুরু হয় তাণ্ডব। খবর পেয়ে বিরাট পুলিশ বাহিনী এলেও তাদের সামনে এক পক্ষ, অপর পক্ষকে মারধর করতে শুরু করে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, ইমারতি ব্যবসার ভাগ-বাটোয়ারাকে কেন্দ্র করে মাঝেমধ্যেই সিন্ডিকেটে-সিন্ডিকেটে মারপিট হয়। সবাই সব কিছু জানলেও, এই ঝামেলা বন্ধে কেউ কোনও ব্যবস্থা নেয় না। চার নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার হাসিনা বানু বলেন,’স্থানীয় দুই দল ছেলের মধ্যে মারপিট হয়। রাতে বোমার আওয়াজ শোনা গিয়েছে বলে বাসিন্দারা আমাকে জানিয়েছেন। পুলিশ দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ায় এলাকার পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে।’

যদিও এলাকার বাসিন্দারা জানিয়েছেন, এই ঘটনার জেরে মঙ্গলবার সারা দিন গোটা তল্লাট থমথমে ছিল। এলাকায় পুলিশ পিকেট থাকলেও রাস্তা ছিল শুনশানয়। খুব প্রয়োজন না হলে এই দিন বাড়ির বাইরে বেরোনোর সাহস করেননি এলাকার অনেক বাসিন্দাই।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *