কারখানায় মালিককে তালাবন্দি, টাকা নিয়ে চম্পট দিল কর্মী – worker locked the owner in his factory and robbed him of lakhs of rupees


এই সময়, সালকিয়া: মালিককে তাঁরই কারখানায় তালাবন্দি করে লক্ষাধিক টাকা নগদ ও মোবাইল হাতিয়ে চম্পট দিল কর্মী। পরে মালিকের চিৎকারে প্রতিবেশীরা এসে তালা ভেঙে উদ্ধার বের করে আনেন হোসিয়ারি কারখানার ওই মালিককে। ঘটনাটি হাওড়ার গোলাবাড়ি থানার সালকিয়ার বিবিবাগানের। পুলিশে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তবে এখনও খোঁজ মেলেনি পলাতক শ্রমিকের।

হোসিয়ারি ব্যবসায়ী শ্যামসুন্দর দাস ভোররাতে মঙ্গলাহাটে যাবেন বলে রাতে মালপত্র গুছিয়ে কারখানাতেই রয়ে যান। সঙ্গে ছিল কারখানার এক কর্মী। নাম ঈশান মোদী। ঈশানকে সদ্য নিয়োগ করেছিলেন শ্যামসুন্দর। সে যে এই কাণ্ড ঘটাবে তা ঘুণাক্ষরেও ভাবতে পারেননি শ্যামসুন্দর। ঘটনার তদন্ত করছে গোলাবাড়ি থানার পুলিশ। সালকিয়ার বিবিরবাগানে জিটি রোডের ধারেই কমলা ভবন নামে একটি বহুতলের একতলায় রয়েছে শ্যামসুন্দরের হোসিয়ারির কারখানা। প্রতি মঙ্গলবারেই হাটে যাওয়ার জন্য রাত থাকতে মালপত্র নিয়ে বের হতে হয়।

তাই রাতে কারখানাতেই ছিলেন শ্যামসুন্দর। তাঁর বক্তব্য, ‘আমি যথেষ্টই সতর্ক ছিলাম। কিন্তু সারা দিনের হাড়ভাঙা পরিশ্রমের পর একটু ঝিমুনি চলে এসেছিল। সেই সুযোগটাই কাজে লাগায় ঈশান।’ রাত বারোটা পর শ্যামসুন্দরের চোখ লেগে গিয়েছিল। ওই সুযোগে ঈশান মোদী কারখানায় থাকা নগদ টাকার ব্যাগ ও মালিকের মোবাইল নিয়ে পালায়। যাওয়ার আগে কারখানার গেটে তালা মেরে যায়। ব্যাগে এক লক্ষেরও বেশি টাকা ছিল বলে পরে পুলিশের কাছে দাবি করেন শ্যামসুন্দর।

রাত দেড়টা নাগাদ ঘুম ভেঙে শ্যামসুন্দরের। ঈশানকে দেখতে না পেয়ে কারখানা থেকে বের হতে গিয়ে দেখেন গেট বন্ধ। তালা মারা। ভয় পেয়ে আশেপাশের লোকজনকে ডাকাডাকি শুরু করেন তিনি। কারখানার পিছনের একটি জানলা দিয়ে পড়শিদের ডাকেন। প্রতিবেশীরা এসে হাতুড়ি, শাবল দিয়ে তালা ভেঙে কারখানা থেকে বের করে আনেন শ্যামসুন্দরকে। তাঁর বাড়িতে খবর পাঠানো হয়। ছুটে আসেন পরিবারের লোকজন। শ্যামসুন্দর দাস গোলাবাড়ি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছএন। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

শ্যামসুন্দরের কথায়, ‘এমনও যে হতে পারে, ভাবতেও পারিনি। কী করে লোককে বিশ্বাস করব বলতে পারেন?’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *