Dengue Fever : নিজের রেকর্ড নিজেই ভেঙে ডেঙ্গিতে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে বাংলা – at the end of december dengue cases crossed the lakhs in bengal


এই সময়: ডেঙ্গিতে নিজের সর্বকালীন রেকর্ড আগেই ভেঙে ফেলেছিল বাংলা। পুজোর আগে ৭০ হাজার পেরিয়ে গিয়েছিল আক্রান্তের সংখ্যা। তখনই আঁচ করা গিয়েছিল, সংখ্যাটা লক্ষ পেরোবে। আর ডিসেম্বরের গোড়াতেই দেখা যাচ্ছে, আক্রান্তের নিরিখে লক্ষের গণ্ডিও টপকে গেল রাজ্য। এর আগে কখনও এত মানুষ মশাবাহিত এই সংক্রমণের কবলে পড়েছেন কিনা, তা মনে করতে পারছেন না স্বাস্থ্যকর্তারা। যদিও তাঁরা বলছেন, এ বছর প্রায় দ্বিগুণ সংখ্যক টেস্ট হওয়ার কারণেই রোগ চিহ্নিতকরণ এতটা বেড়ে গিয়েছে। এখন অবশ্য ডেঙ্গির প্রকোপ কমছে। কিন্তু এরই মধ্যে ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমের প্রভাবে দক্ষিণবঙ্গের মাটি কতটা ভেজে, তা নিয়েও স্বস্তিতে নেই স্বাস্থ্যকর্তারা।

স্বাস্থ্যভবনের অভ্যন্তরীন রিপোর্ট বলছে, গত ২৯ নভেম্বর রাজ্যে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছে গিয়েছিল ৯৮ হাজারে। আর ডিসেম্বরের ৪ তারিখেই সংখ্যাটা এক লক্ষ পেরিয়ে গিয়েছে বলে খবর। গড়ে এখনও রোজ হাজারখানেক মানুষ ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হচ্ছেন। অর্থাৎ স্পষ্ট, আগের চেয়ে প্রকোপ কমলেও ডিসেম্বরে ডেঙ্গি পরিস্থিতির ঠিক যতটা উন্নতি হওয়া উচিত ছিল, প্রত্যাশিত সেই অবস্থায় এখনও পৌঁছায়নি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এর জন্য তাপমাত্রাই দায়ী। কেননা, তাপমাত্রা ১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নীচে না নামা পর্যন্ত অব্যাহত থাকে ডেঙ্গির বাহক এডিস মশার বংশবৃদ্ধি। আর সেই তাপমাত্রা এখনও আসেনি বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ আর ঘূর্ণিঝড়ের জেরে।

স্বাস্থ্য দপ্তরের জনস্বাস্থ্য শাখার এক আধিকারিক বলেন, ‘মিগজাউম তো আজ (মঙ্গলবার) অন্ধ্র উপকুলে আছড়ে পড়লো। ঘূর্ণিঝড়ের সেই প্রভাব সরাসরি হয়তো বাংলা পড়বে না। কিন্তু এই মিগজাউমের জন্যই ডেঙ্গি পরিস্থিতির প্রত্যাশিত উন্নতি নিয়ে এই ডিসেম্বরেও আমরা সংশয়ী।’ কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তিনি জানান, একদিকে যেমন ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে শীতে তাপমাত্রা কমে যাওয়ার ব্যাপারটা আটকে গিয়েছে। অন্যদিকে তেমনই আবার ঘূর্ণিঝড়ের জেরে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে জল জমে যাওয়ার মতো বৃষ্টি হলে, সেই কারণে বেড়ে যাবে এডিস মশার বংশবৃদ্ধি।

সে জন্যই শীত পড়ার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে সংক্রমণ আগের চেয়ে বেশ কিছুটা কমলেও, ডেঙ্গি নিয়ে উদ্বেগ এখনও রয়েই গিয়েছে স্বাস্থ্যভবনের অন্দরমহলে। লক্ষাধিক আক্রান্তের মধ্যে শুধুমাত্র দক্ষিণবঙ্গের ১৬টি জেলাতেই (স্বাস্থ্যজেলা-সহ) ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৯০ হাজার। সংক্রমণের প্রকোপ মূলত কলকাতা ও লাগোয়া জেলাগুলিতেই বেশি।

এর মধ্যে পলা নম্বরে রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা। সেখানে চলতি বছরে ২৯ নভেম্বর পর্যন্ত ২০ হাজার ৮১ জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন। এর পরেই রয়েছে কলকাতা, যেখানে ১ জানুয়ারি থেকে এ যাবৎ আক্রান্তের সংখ্যা ১৩ হাজার ৯৪১ জন। আক্রান্তের সংখ্যার বিচারে তৃতীয় স্থানে রয়েছে মুর্শিদাবাদ (১১ হাজার ৭২১)। এর পরে চতুর্থ, পঞ্চম ও ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে যথাক্রমে হুগলি (৭ হাজার ৮৩৪), নদিয়া (৬ হাজার ৪৩৪) ও হাওড়া (৫ হাজার ৮১১)। আর দক্ষিণ ২৪ পরগনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৩ হাজার ৯৫০ জন।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *