Jadavpur University : ছ’মাস সাসপেন্ড আলু, কঠোর পদক্ষেপ অ্যান্টি র‍্যাগিং কমিটির – anti ragging committee has taken strict action against the accused in jadavpur university in ragging case


এই সময়: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেন হস্টেলে র‍্যাগিংয়ের জেরে স্নাতক প্রথম বর্ষের এক পড়ুয়ার মৃত্যুর ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করল অ্যান্টি র‍্যাগিং কমিটি। দুই ছাত্রনেতা ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্র সংসদ ফেটসুর দীর্ঘদিনের চেয়ারম্যান অরিত্র মজুমদার ওরফে আলু এবং কলা শাখার ছাত্র সংসদ আফসুর সক্রিয় সদস্য রুদ্র চট্টোপাধ্যায়কে যথাক্রমে ছ’মাস ও একমাসের জন্য সাসপেন্ডের সুপারিশ করেছে কমিটি। ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় দু’জনকেই পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হতে হয়েছিল। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারন্যাল কমিটি (আইসি) অরিত্রকে শুধু গবেষণা শেষের পর ক্যাম্পাসে প্রবেশ নিষেধের বিধান দিয়েছিল। মঙ্গলবার অ্যান্টি র‍্যাগিং কমিটি অবশ্য ভিন্ন অবস্থান নিল।

অনেকে মনে করছেন, যাদবপুরে ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অভিযুক্তদের শাস্তি নিয়ে টালবাহনা করছিলেন। আচার্য-রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস এ ব্যাপারে তাঁর ক্ষোভ ও বিরক্তি স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন। এই ঘটনায় দোষীদের শাস্তি না হলে, তিনি কোর্ট মিটিংয়ের অনুমতি যে দেবেন না, তা-ও বুঝিয়ে দিয়েছিলেন। সেই গুঁতো খেয়েই কর্তৃপক্ষের ঘুম ভাঙল বলেই মত শিক্ষামহলের।

অরিত্রর শাস্তির ক্ষেত্রে ইন্টারন্যাল কমিটি ও অ্যান্টি র‍্যাগিং স্কোয়াড যে অবস্থান নিয়েছিল, অ্যান্টি র‍্যাগিং কমিটি পরেও ভিন্ন পদক্ষেপ করতে পারে কি না, এই প্রশ্নের জবাবে ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ বলেন, ‘ইউজিসি-র গাইডলাইন ও যাবতীয় বিধি মেনেই কমিটি শাস্তির সুপারিশ করেছে। প্রত্যেক অভিযুক্তকে শাস্তি দেওয়ার আগে শো-কজ়ও করা হবে। তারা আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ পাবে। তারপর সেই জবাব খতিয়ে দেখে কমিটি চূড়ান্ত ব্যবস্থা গ্রহণে কর্মসমিতির (ইসি) কাছে পাঠাবে।’

অ্যান্টি র‍্যাগিং কমিটির যুক্তি, অরিত্র ৯ অগস্টের ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। একই অভিযোগ সৈকত শিট ও গৌরব দাসের বিরুদ্ধেও। তাঁদের আজীবন আকাদেমিক ও হস্টেল বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত হয়েছিল। গবেষকদের উপস্থিতির খাতায় অরিত্রর সই থাকলেও তিনি ঘটনার সময়ে ভিন রাজ্যে ছুটিতে ছিলেন। সে জন্য তাঁর বিরুদ্ধে পৃথক তদন্তেরও সুপারিশ করেছিল আইসি।

সৈকত ও গৌরবদের মতো একইভাবে অভিযুক্ত অরিত্রকে এদিন ছ’মাস সাসপেন্ডের সুপারিশ করা হয়েছে। রুদ্রর বিরুদ্ধে অভিযোগ, স্নাতক প্রথম বর্ষের ওই পড়ুয়াকে ভয় দেখানোর। তাই আইসি এবং স্কোয়াডের রিপোর্টে ফ্রেশার্সদের অনুষ্ঠানে তাঁকে ছ’মাস না থাকার নিদান দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কমিটি তাঁকে একমাস সাসপেন্ডের সুপারিশ করেছে। কমিটির বৈঠকে উপস্থিত আফসুর প্রতিনিধির যুক্তি ছিল, স্কোয়াডের সুপারিশের পর কমিটির বিশেষ কিছুই করার থাকে না।

অ্যান্টি র‍্যাগিং কমিটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে, মেন হস্টেলে স্নাতক প্রথম সেমেস্টারের পড়ুয়ার মৃত্যুর ঘটনায় ডিন অফ স্টুডেন্টসকে সতর্ক করা হবে। মেন হস্টেলের সিডি ব্লকের সুপারকে তিনমাস সাসপেন্ড, এ ব্লকের হস্টেল সুপারকে বদলি এবং দুই নিরাপত্তারক্ষীকেও বদলির সুপারিশ করা হয়েছে।
সেইসঙ্গে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রে অভিযুক্ত ৫ জনকে চারটি সেমেস্টার সাসপেন্ড ও হস্টেল থেকে আজীবন বহিষ্কার, র‍্যাগিংয়ে উৎসাহ দেওয়ায় ২৫ জন পড়ুয়াকে ছ’মাস সাসপেন্ড ও আজীবন হস্টেল বহিষ্কার, ছ’জন প্রাক্তনীকে সারাজীবন ক্যাম্পাস ও হস্টেলে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা এবং ২২ জন প্রাক্তন পড়ুয়ার হস্টেল অকুপাই করার বিষয়টি দেখার জন্য স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার বোর্ডে পাঠানো হয়েছে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *