পরিবারের সদস্যের বিয়েতে অংশ নেবেন মমতা
মুখ্যমন্ত্রীর ভাই ও তৃণমূল নেতা কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছেলে আবেশ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিয়ের আসর বসছে কার্শিয়াঙে। সেই বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি আলিপুরদুয়ার, শিলিগুড়ি কার্শিয়াং, মিরিকসহ একাধিক জায়গায় প্রশাসনিক কর্মসূচি রয়েছে মমতার।
পাহাড়কে তিনি কতটা ভালবাসেন, তাই বোঝানোর জন্য ভাইপোর আবেশের বিয়ের প্রসঙ্গও শোনা যায় মুখ্যমন্ত্রী গলায়। তিনি বলেন, ‘আমি পাহাড় ও এখানকার মানুষদের ভালবাসি। সব সম্প্রদায়ের মানুষই আমার কাছে সমান। আমাদের পরিবারের ছেলে পাহাড়ের মেয়ে বিয়ে করছে। সে নিজেকেও চিকিৎসক, তাঁর হবু স্ত্রীও চিকিৎসক। তাঁরা বন্ধু ছিলেন। আমি পরিবারের কোনও অনুষ্ঠানে থাকি না। কিন্তু যেহেতু পাহাড়ের মেয়েকে বিয়ে করছে তাই থাকব।’ উল্লেখ্য, ভাইয়ের বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ইতিমধ্যেই কার্শিয়াঙে পৌঁছে গিয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
ঠাসা সরকারি কর্মসূচি
পারিবারিক বিয়ের অনুষ্ঠান ছাড়া দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ারে মুখ্যমন্ত্রী একাধিক প্রশাসনিক কর্মসূচি রয়েছে। ১২ ডিসেম্বর শিলিগুড়িতে প্রশাসনিক সভার মাধ্যমে শেষ হবে মমতার উত্তরবঙ্গ সফর। মমতা বলেন, ‘বানারহাটের কর্মসূচি সেরে আমি ১১ ডিসেম্বর উত্তরকন্যায় ফিরে আসব। ১২ ডিসেম্বর শিলিগুড়িতে অনুষ্ঠীন রয়েছে। তারপরই আমি ফিরে আসব। এখানকার সবাই ভালভাবে থাকবেন, এটাই আশা করি।’ মমতার এই উত্তরবঙ্গ সফরে বিশেষ কোনও চমক থাকে কি না, সেটাই এখন দেখার।
ইন্ডিয়া জোট নিয়ে স্পষ্ট বার্তা
মমতা, নীতীশ ও অখিলেশদের না যাওয়ার সিদ্ধান্তের কথা সামনে আসতে তড়িঘড়ি বাতিল করা হয় দিল্লির ইন্ডিয়া জোটের বৈঠক। উত্তরবঙ্গ যাওয়ার পথে এই নিয়ে মুখ খোলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। মমতা বলেন, ‘আমাকে গতকাল রাহুল গান্ধী ফোন করেছিলেন। ইন্ডিয়া জোটের আগামী বৈঠকে অবশ্যই উপস্থিত থাকব। এই বৈঠকের কথা না জানালে কর্মসূচি ঠিক করতাম না। কোনও মুখ্যমন্ত্রীকে চার পাঁচদিন আগে অন্তত না জানালে, তার পক্ষে সময় বের করা খুব কঠিন। আগামী বৈঠকে অবশ্যই উপস্থিত থাকব।’