কর্মীকে শাসন বিধায়কের?
কেন্দ্রের বঞ্চনার প্রতিবাদে খড়দা বিধানসভার বিধায়ক তথা রাজ্যের কৃষি মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের স্লোগানের সঙ্গে কর্মী সমর্থকরা গলা না মেলানোয় মেজাজ হারিয়ে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতিকে ধাক্কা দেওয়ার বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা। এক শ্রেণির মিডিয়া ভুল বার্তা মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে চাইছে বলে দাবি খড়দহ ব্লক ব্যারাকপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি প্রবীর রাজবংশীর।
কী বললেন সেই নেতা?
মঙ্গলবার বিকেলে সাংবাদিক সম্মেলন করে বিষয়টি পরিষ্কার করে জানান পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি। তিনি জানান, দল নেত্রীর নির্দেশিত পথে গত শনিবার এবং রবিবার কেন্দ্রের বঞ্চনা সহ একশো দিনের প্রাপ্য টাকা এবং আবাস যোজনার প্রাপ্য টাকা আদায় প্রতিবাদে রাজ্য জুড়ে প্রতিবাদী বিক্ষোভ মিছিল করতে বলা হয় ব্লক টাউনে। শনিবার খড়দা বিধানসভার ব্যারাকপুর ২ ব্লকের বিলকান্দা ১ ও ২ এবং বন্দিপুর পাতুলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় চারটি প্রতিবাদে মিছিলে সামিল হন রাজ্যের কৃষি ও পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়।
অভিভাবকের মতো শাসন
শনিবার বিলকান্দা ২ নং গ্রাম পঞ্চায়েত বোর্ডঘর মুড়াগাছা প্রতিবাদী মিছিলে যোগ দেন মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। মিছিল শুরুতেই একশো দিনের প্রাপ্য টাকা আদায় দাবিতে সোচ্চার হয়ে পথে নামে তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী সমর্থকরা। সঙ্গে ছিলেন বিধায়ক তথা মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। মন্ত্রী শ্লোগান দেন একশো দিনের প্রাপ্য টাকা দিতে হবে দিতে হবে। কর্মীরা জোরে শ্লোগান না দেওয়ার মন্ত্রী মেজাজ হারিয়ে রেগে যান। তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি প্রবীর রাজবংশীকে বলেন, ‘এ সব কোন ডেডবডিকে এনেছিস? একটাও জ্যান্ত পার্টি নয়। এদের কোথা থেকে এনেছিস?’ এক শ্রেণির মিডিয়া প্রচার করল তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতিকে ধাক্কা!’ তাঁর কথায়, উনি আমাদের শাসন করেছেন। মঙ্গলবার বিকেলে সাংবাদিক সম্মেলন করে সরাসরি ক্ষোভ প্রকাশ করে ব্যারাকপুর ২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি প্রবীর রাজবংশী।
তিনি বলেন, ‘মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করে ভুল বার্তা পৌঁছে দিয়েছেন এক শ্রেণির বৈদ্যুতিক সংবাদমাধ্যম এবং কিছু দৈনিক সংবাদপত্র।’ ভুল বার্তা না পৌঁছে সঠিকভাবে সংবাদ পরিবেশনের জন্য সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন। প্রবীর রাজবংশী সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে পরিষ্কারভাবে বিষয়টি তুলে ধরেন। তাঁর কথায়, ‘মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় যখন স্লোগান দিচ্ছিলেন, তখন কর্মীরা একটু অন্যমনস্ক ছিল। স্বাভাবিক ভাবেই মন্ত্রী মেজাজ হারিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। খড়দহ বিধানসভার সকলের খুব কাছের বিধায়ক এবং মন্ত্রী। দলের সকল রাজনৈতিক কর্মীদের সুখ-দুঃখের খোঁজ খবর নেন। পারিবারিক সুসম্পর্ক সকলের সঙ্গে মন্ত্রীর। উপস্থিত কর্মীরা মন্ত্রীর শ্লোগানের সাথে গলা মেলাতে পারেনি বলে মন্ত্রী ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। এটা স্বাভাবিক। ভুল ভ্রান্তি করলে শুধরে দেবেন অবশ্যই।’