মঙ্গলবার সকাল থেকেই বিশ্বভারতীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢোকার চেষ্টা চালান আন্দোলনকারীরা। বলাকা গেটের সামনে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন তাঁরা। কিছু সময় পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের সঙ্গে কথা বলতে চান তাঁরা। কিন্তু তাঁদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। তাতে উত্তেজনা বাড়ে। বিক্ষোভ এবং প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে ওঠে শান্তিনিকেতন এলাকা। বিশ্বভারতীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যাওয়ার বলাকা গেটে নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের ধস্তাধস্তি করতে দেখা যায়। সেন্ট্রাল অফিসের সামনেও লাগাতার বিক্ষোভ চলে।
নিরাপত্তাকর্মীদের সঙ্গে তর্কাতর্কির মধ্যে শুরু হয় গেটের তালা ভাঙা। দুপুরে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের গেটের তালা ভেঙে জোর করে ঢুকে পড়েন বোলপুর ব্যবসায়ী সমিতি, কবিগুরু হস্তশিল্প মার্কেটের লোকজন তথা স্থানীয়রা। ‘পৌষমেলা বাঁচাও কমিটি’ লেখা হোর্ডিং নিয়ে তাঁরা বিক্ষোভ দেখান। স্লোগান ওঠে শান্তিনিকেতনের পূর্বপল্লির মাঠেই পৌষমেলা করতে হবে। তবে সেই সময় কার্যালয়ে ছিলেন না ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য ও কর্মসচিব। বাংলা সংস্কৃতি মঞ্চের পক্ষ থেকে সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, ‘পৌষমেলা কেন বন্ধ করা হলো? আমাদের সঙ্গে কেন উপাচার্য কথা বলছেন না? এই মেলা আমাদের সবার আবেগ। ইচ্ছাকৃত ভাবে বন্ধ করা হচ্ছে ঐতিহ্যবাহী পৌষমেলা।’
২০১৯ সালে শেষ বার শান্তিনিকেতনে হয়েছিল ঐতিহ্যবাহী পৌষমেলা। ২০২০ সালে কোভিড পরিস্থিতির জন্য মেলা হয়নি। কিন্তু ২০২১ ও ২২ সালে উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী পৌষমেলা বন্ধ করে দেন৷ যা নিয়ে শান্তিনিকেতন জুড়ে ক্ষোভ তৈরি হয়। গত ৮ নভেম্বর উপাচার্য হিসাবে মেয়াদ শেষ হয়েছে বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর। নতুন ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য হয়েছেন সঞ্জয়কুমার মল্লিক। তাই এবার বোলপুর-শান্তিনিকেতনবাসী আশা করেছিলেন, এবার হয়তো পৌষমেলা হবে৷ কিন্তু তা না-হওয়ায় ক্ষোভ রয়েছে মানুষের মনে।