শোষক পোকার হানায় সুগন্ধি ধান, নিয়ে বাড়ছে চিন্তা – farmers in east bardhaman district are facing danger due to brown borer infestation


এই সময়, বর্ধমান: কয়েকদিনের মেঘলা আবহাওয়ায় নতুন বিপদের মুখোমুখি চাষিরা। মাঠভরা পাকা ধানে বাদামি শোষক পোকার উপদ্রব শুরু হয়েছে শস্যগোলায়। পূর্ব বর্ধমান জেলার প্রায় সব ব্লকেই শোষক পোকার হানায় চাষিদের কপালে চিন্তার ভাঁজ। ধানের ফলন মার খাওয়ার আশঙ্কায় ভুগছেন তাঁরা। জেলায় এবার আমন ধানের চাষ হয়েছে ৩ লক্ষ ৮০ হাজার হেক্টর জমিতে। এখনও পর্যন্ত এক চতুর্থাংশ জমির ধান কাটা হয়েছে। কোথাও ধান পাকতে শুরু করেছে। জেলার কয়েকটি ব্লকে সুগন্ধি ধানের চাষও হয়ে থাকে।

রায়না-১ ও ২ ব্লক, খণ্ডঘোষ ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকায় চাষ হয় গোবিন্দভোগ ধানের। এবার ভালো ফলনের আশা করেছিলেন চাষিরা। কিন্তু তাতে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে শোষক পোকার হানা। খণ্ডঘোষের শেখ আনসার আলি বলেন, ‘আমাদের এলাকায় সুগন্ধি গোবিন্দভোগের চাষ বেশি হয়। পুজোর সময়ে দুর্যোগে অনেক জায়গায় জমির ধান পড়ে গিয়েছিল।

কিন্তু ফলন ঠিকঠাক হয়েছিল। এই কয়েকদিনের আবহাওয়ায় সবটা মাটি হয়ে গেল। শোষক পোকার আক্রমণ হয়েছে ধান জমিতে। ফলে ধানের ফলন কতটা পাবতা নিয়ে সংশয় রয়েছে।’ একই আশঙ্কার কথা শুনিয়েছেন অচিন্ত্য মালিক নামে এক চাষি। তিনি বলেন, ‘পরিমাণে কম হলেও আমন ধানের জমিতেও শোষক পোকার আক্রমণ শুরু হয়েছে। এই পোকা খুব দ্রুত ছড়িয়ে যায়। কৃষি দপ্তরের সঙ্গে কথা বলে জমিতে স্প্রে করিয়েছি। এখন আশঙ্কা শুধু ফলন নিয়ে।’

তবে কৃষি দপ্তরের রিপোর্ট বলছে, এখনও পর্যন্ত শোষক পোকার আক্রমণ খুবই কম হয়েছে। চাষিদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে কৃষি দপ্তর। জেলা কৃষি আধিকারিক নকুলচন্দ্র মাইতি বলেন, ‘এখনই শোষক পোকা নিয়ে চিন্তা করার পরিস্থিতি নেই। আমি খণ্ডঘোষ ব্লকের কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখেছি। শোষক খুব সামান্য লেগেছে কয়েকটা জমিতে। আমাদেরও নজরদারি রয়েছে। ফলন খারাপ হওয়ার কোনও পরিস্থিতি এখনও তৈরি হয়নি।’ তিনি যোগ করেন, ‘সুগন্ধি ধানের বাজারদর ভালো বলেই চাষিরা বেশি আতঙ্কিত হচ্ছেন, সেটা আমরাও বুঝতে পারছি।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *