বাবুল-ইন্দ্রনীলের দ্বন্দ্ব মিটল
অবশেষে বাবুল সুপ্রিয় ও ইন্দ্রনীল সেনের দূরত্ব মিটল। বৃহস্পতিবার বিধানসভার ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের ঘরে রুদ্ধদ্বার বৈঠকের পর যাবতীয় মেঘ কেটে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বৈঠক শেষে অরূপ বিশ্বাসকে বলতে শোনা গিয়েছে ‘সব দ্বন্দ্ব মিটে গিয়েছ।’ হেসে সম্মতি জানান দুই মন্ত্রী। পরে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকেও অরূপের ঘরে গিয়ে আড্ডায় যোগ দিতে দেখা যায়। তবে বৈঠকে কী আলোচনা হয়েছে সেই নিয়ে কেউই বাইরে মুখ খোলেননি। দুই গাইয়ে মন্ত্রীর যুদ্ধ আপাতত এখানেই শেষ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
তবে তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার সূত্রপাত হয় বৃহস্পতিবারের বিধানসভা অধিবেশনের ট্রেজারি বেঞ্চ থেকে। সেখানে কলকাতা আন্তর্জাতিক ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল নিয়ে তিনমন্ত্রীর কথা শুরু হয়। তারপর অরূপের ডাকে তাঁর ঘরে চলে যান তিনজন। সূত্রের খবর, রুদ্ধদ্বার বৈঠকে দুই মন্ত্রীর মধ্যে মান-অভিমানের কথা হয়েছে। তারপর হাসিমুখে তাঁদের তিনজনকে চা খেতে দেখা যায়।
বাবুল-ইন্দ্রনীল বিবাদ শুরু কোথায়?
তৃণমূলে যোগ দিয়ে বালিগঞ্জ থেকে জিতে বিধায়ক হওয়ার পর বাবুলকে পর্যটন মন্ত্রী করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাবুলের আগে পর্যটনের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী ছিলেন ইন্দ্রনীল। বাবুল পর্যটন দফতরের মন্ত্রী হওয়ার কয়েকদিন পর ইন্দ্রনীলকে পশ্চিমবঙ্গ পর্যটন উন্নয়ন নিগমে চেয়ারম্যান করেন মমতা। তারপর থেকেই সমস্যার সূত্রপাত। এরপরই বিধানসভার অলিন্দে পর্যটন দফতর নিয়ে তরজায় জড়ান দুই মন্ত্রী। দফতরের কাজে হস্তক্ষেপের অভিযোগ তোলেন বাবুল। তার কয়েকদিন পরই পর্যটন দফতর বাবুলের হাত থেকে নিয়ে ফের তা ইন্দ্রনীলের হাতে দেন মমতা। তথ্য ও প্রযুক্তির পাশাপাশি বাবুলকে দেওয়া হয় অচিরাচরিত শক্তি দফতর। বরফ যে গলছে, তার ইঙ্গিত আগেই মিলেছিল। বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের মঞ্চে বাবুল ও ইন্দ্রনীলকে মমতার দুই পাশে দাঁড়িয়ে রাজ্য সংগীত ‘বাংলার মাটি বাংলার জল’ গান করতে দেখা যায়। অবশেষে একটি বৃত্ত সম্পন্ন হল।