ঘূর্ণাবর্তের জেরে অনেক জেলাতেই শুরু হয়েছে বৃষ্টিপাত। বিকেল থেকেই পাহাড়েও কিছু জায়গায় বৃষ্টি শুরু হয়েছে। এদিকে সান্দাকফুতে তুষারপাত হতেই তা উপভোগ করছেন পর্যটকরা। এই মুহূর্তে ভিড়ে ঠাসা দার্জিলিং। অনেকেই দার্জিলিং থেকে সান্দাকফুতে যান। প্রথম তুষারপাতের খবর সামনে আসার পর ভিড় আরও বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। বর্তমানে যে আবহাওয়া সেখানে রয়েছে তাতে রাতের দিকে আরও তুষারপাত হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
তবে তুষারপাতের জেরে জাঁকিয়ে ঠান্ডা পড়তে পারে। ফলে সান্দাকফুতে এখন পর্যটকেরা অনেকেই ঘরবন্দি। রাতের দিকে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে।
এদিকে পাহাড় ও সমতলেও অনেক জায়গায় বৃষ্টি শুরু হয়ে গিয়েছে। মানেভঞ্জন থেকে সান্দাকফু পর্যন্ত হচ্ছে বৃষ্টিপাত। শুক্রবারও বহু জায়গায় বৃষ্টিপাত হতে পারে বলে খবর। পর্যটন ব্যবসায়ীরা জানান, সান্দাকফুতে তুষারপাতের খবর পাওয়া গিয়েছে। বিকেল থেকে সেখানে তুষারপাত হতেই অনেক পর্যটক এই নিয়ে খোঁজ নিয়েছেন। তবে চলতি বছর ডিসেম্বরের শুরুর দিকে তুষারপাত হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই খুশি পর্যটক ও পর্যটন মহল।
দার্জিলিং শহরের তাপমাত্রা বর্তমানে ৫ ডিগ্রি থেকে ১৩ ডিগ্রির মধ্যে ঘোরাফেরা করছে। এছাড়াও টাইগার হিলে তাপমাত্রা আরও অনেক কম। সন্ধ্যাবেলা থেকেই শিলিগুড়িতে ঝিরি ঝিরি বৃষ্টি পড়তে শুরু করে। এই সময় শীত উপভোগ করতে অনেকেই দৌড় লাগান পাহাড়ে। আর এই তুষারপাতে স্বাভাবিকভাবেই পোয়া বারো পর্যটকদের।
জানা গিয়েছে, সাদা বরফের আস্তরণে ঢেকেছে ফালুট , সিঙ্গলিলা রেঞ্জের একাধিক এলাকা। শুধু দার্জিলিং নয়, লেপচাজগৎ, সান্দাকফু, সিটং, ফালুটেও এই সময় বহু পর্যটক ভিড় সমান। ফালুটের আশেপাশেও হয়েছে তুষারপাত। স্বাভাবিকভাবেই ট্রেক করতে যাঁরা আগ্রহী তাঁদের জন্য নিঃসন্দেহে এই তুষারপাত একটি অন্যতম খুশির খবর।
গত কয়েকদিন ধরেই সান্দাকফুতে তুষারপাতের জন্য আদর্শ আবহাওয়া ছিল। তাপমাত্রাও ছিল বেশ নিম্নমুখী। দার্জিলিঙের এক হোটেল ব্যবসায়ী জানান, গত কয়েক দিন ধরেই হোটেল ব্যবসা বেশ রমরমিয়ে চলছে। স্বাভাবিকভাবেই তুষারপাতের খবর পেয়ে এই পাহাড়মুখী পর্যটকের ভিড় আরও বাড়তে চলেছে। স্বাভাবিকভাবেই আশায় বুক বেঁধেছেন সেখানকার পর্যটকরা।