Fraud Case : সাড়ে ৮ লাখ ট্রানজ়্যাকশন তিন দিনে! চোখ কপালে সিবিআইয়ের – 820 crores were deposited in the accounts of 41 thousand customers of a state owned bank within 3 days


এই সময়: মাত্র তিন দিনে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের ৪১ হাজার গ্রাহকের অ্যাকাউন্টে জমা পড়ল ৮২০ কোটি টাকা। সাতটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের বিভিন্ন অ্যাকাউন্ট থেকে ওই টাকা ট্রান্সফার হয়। কিন্তু ওই বেসরকারি ব্যাঙ্কগুলির গ্রাহকেরা জানেনই না, তাঁদের অ্যাকাউন্ট সাফ হয়ে গিয়েছে। এনিয়ে তদন্তে নেমে দেশের অন্য কয়েকটি শহরের পাশাপাশি এ রাজ্যে নিউটাউন ও সল্টলেকের দত্তাবাদে তল্লাশি চালিয়েছে সিবিআই। ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ তাদের দুই সাপোর্ট ইঞ্জিনিয়ার এবং আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে এফআইআর করেছে। এই ভুয়ো লেনদেনে জড়িয়ে গিয়েছে কলকাতার নামও। কিন্তু যেভাবে মাত্র তিনদিনে হাজার হাজার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে আরও কয়েক হাজার অ্যাকাউন্টে কোটি কোটি টাকা ট্রান্সফার হয়ে গিয়েছে, তাতে বিস্মিত তদন্তকারীরা।

সিবিআই সূত্রে খবর, জালিয়াতি হওয়া টাকার মধ্যে ৬৪৯ কোটি টাকা উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। তবে একশো কোটি টাকার বেশি তুলেও নেওয়া হয়েছে। সেগুলি উদ্ধারে তদন্ত জারি রয়েছে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার নজরে রয়েছেন ওই ব্যাঙ্কেরই কয়েকজন কর্মী। ঘটনার সূত্রপাত ১০ নভেম্বর। তার তিন দিন পরে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের নজরে আসে, তিন দিনে ইমিডিয়েট পেমেন্ট সার্ভিস (আইএমপিএস)-এর মাধ্যমে তাদের ব্যাঙ্কের ৪১ হাজার গ্রাহকের অ্যাকাউন্টে ৮২০ কোটি টাকা জমা পড়েছে। ওই টাকা এসেছে সাতটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের ৪১ হাজার গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট থেকে। মোট লেনদেনের সংখ্যা ছিল সাড়ে আট লক্ষেরও বেশি। যে গ্রাহকদের অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা কাটা গিয়েছে, তাঁদের সকলে এই লেনদেনের কথা জানতেও পারেননি। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কটি ঘটনাটি জানতে পারা মাত্রই সিবিআইয়ের দ্বারস্থ হয়।

সোমবার সিবিআই কলকাতা ও ম্যাঙ্গালোরের ১৩টি জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালায়। কলকাতার নিউটাউন এবং সল্টলেকের দত্তাবাদ এলাকার তিনটি বাড়িতে টানা তল্লাশি চলে। তার মধ্যে ওই ব্যাঙ্কের একাধিক কর্মীর বাড়িও রয়েছে। তল্লাশিতে বেশ কিছু নথি উদ্ধার হয়েছে, যা এই মামলায় খুবই গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। ওই নথি থেকেই লেনদেন কীভাবে কোথা থেকে করা হয়েছে তা জানার চেষ্টা করছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। লেনদেনের তল পেতে সাইবার বিশেষজ্ঞদের সাহায্য নিচ্ছে সিবিআই।

তদন্তকারীরা মনে করছেন, খুব পরিকল্পিত ভাবেই এই জালিয়াতি করা হয়েছে। কারণ, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের গ্রাহকদের অ্যাকাউন্টে জমা পড়লেও, তা ওই ব্যাঙ্কের কোনও অ্যাকাউন্ট থেকে কাটা হয়নি। পুরো টাকাটাই এসেছে সাতটি বেরসকারি ব্যাঙ্ক থেকে। এবং, সেই ব্যাঙ্কের লেনদেন রেকর্ডে লেখা হয়েছে- ‘ট্রানজ্যাকশন ফেইলড’। ফলে ওই গ্রাহকেরা দীর্ঘদিন জানতেই পারেননি যে তাঁদের অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা সরিয়ে ফেলা হয়েছে। ৮২০ কোটি টাকার মধ্যে প্রায় ১৭০ কোটি টাকা সরিয়েও ফেলা হয়েছে। যাঁদের অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা সরিয়ে ফেলা হয়েছে, সিবিআই এখন তাঁদের তলব করছে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *