আন্দোলনকারীদের দাবি, অবিলম্বে বকেয়া টাকা না মেটালে তারা আরও বৃহত্তর আন্দোলনের পথে নামবে। এই আন্দোলনের জেরে ব্যাহত হয়েছে পুর পরিষেবা। সাধারণ মানুষকে বিভিন্ন কাজে পুরসভায় গিয়ে ঘুরে আসতে হচ্ছে।
পশ্চিমবঙ্গ পৌরকর্মচারি ফেডারেশন INTTUC -র রায়গঞ্জ ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক শম্ভু ঘোষ সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানান, তারা মূলত চার দফা দাবিতে এই আন্দোলনে সামিল হয়েছেন। অস্থায়ী পুর কর্মীদের দু’মাসের বকেয়া বেতন প্রদান, অবসরপ্রাপ্ত পুর কর্মীদের তিন মাসের বকেয়া পেনশন প্রদান, বাকি অর্ধেক বোনাস প্রদানের দাবিতে তাঁরা এই কর্ম বিরতি ও অবস্থান-বিক্ষোভ আন্দোলনে নেমেছেন। অতি দ্রুত এই বকেয়া টাকা না মেটানো হলে আন্দোলন চলবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।
এই প্রসঙ্গে রায়গঞ্জ পুরসভার পুর প্রশাসক সন্দীপ বিশ্বাস বলেন, ‘আমরা ঠিক মতো তাঁদের নিয়ন্ত্রণ করার মতো জায়গা তৈরি করছি। অনেকেরই ৬০ বছর পেরিয়ে গিয়েছে। তবু মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে তাঁদের রাখা হয়েছিল। কিন্তু, আইনটা আইনই। বোনাস পুরসভা দিয়েছিল ২৫০০ টাকা করে। কিন্তু বিগত দিনে যে ৪৮০০ টাকা দেওয়া হয়েছিল সেই মোতাবেক টাকা তারা চাইছে। বেতন যারা পাননি তাঁদের ন্যায্য দাবি রয়েছে। সোমবার মঙ্গলবারের মধ্যে পুরো বিষয়টি মিটে যাবে।’
অন্যদিকে, কংগ্রেস পরিচালিত INTUC-র সম্পাদক অসীম কুমার ভৌমিক বলেন, ‘কর্মীদের স্বার্থে আমাদের সমর্থন সবসময় থাকবে। ওদের সব রকম সহযোগিতা করছি। পাশে থেকে ওদের সাহায্য করছি। তৃণমূল এই পুরসভাকে শেষ করে দিয়েছে। এই ধরনের অবস্থা চলতে থাকলে আগামীদিনেও এই পুরসভা কোনওদিন ঘুরে দাঁড়াতে পারবে না।’ পুরবোর্ড সুস্থভাবে পরিচালনা করা হচ্ছে না বলে দাবি করেছেন তিনি।
পশ্চিমবঙ্গ পৌর কর্মচারী ফেডারেশন INTTUC -র রায়গঞ্জ ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক শম্ভু ঘোষ বলেন, ‘আমাদের চার দাবি রয়েছে। অস্থায়ী কর্মীরা ২ মাস বেতন পাচ্ছেন না, অবসরপ্রাপ্ত কর্মীরা ৩ মাস পেনশন পাচ্ছে না। দুর্গাপুজোর আগে বোনাস পেলেও ছটপুজোর আগে যে বোনাস দেওয়ার প্রতিশ্রুতি হয়েছিল তা আমরা পাইনি। সকাল থেকেই কর্মবিরতি করছি।’