Kazi Nazrul University : নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় ৫০ লাখ টাকার গাছ বিক্রি, জমা পড়ল ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটির তদন্ত রিপোর্ট – fact finding committee report was submitted in the investigation of the complaint of cutting and selling trees from kazi nazrul university without the permission of the forest department


এই সময়, আসানসোল: বন দপ্তরের অনুমতি ছাড়া প্রাক্তন উপাচার্য সাধন চক্রবর্তীর মেয়াদকালে কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বন দপ্তরের অনুমতি ছাড়া গাছ কেটে বিক্রির অভিযোগের তদন্ত করেছিল ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি। সেই তদন্তে গাছ কেটে আর্থিক তছরুপের প্রমাণ মিলেছে। তদন্ত কমিটি সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান উপাচার্য দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে পেশ করা রিপোর্টে সরাসরি চুরির কথা জানানো হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের এগজিকিউটিভ কাউন্সিলের নির্দেশ মেনে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটির পেশ করা রিপোর্ট সম্পর্কে উপাচার্য দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘এগজিকিউটিভ কাউন্সিলের নির্দেশ মেনে গঠিত কমিটির কাঠ চুরির অভিযোগের তদন্ত রিপোর্ট আমার হাতে এসেছে। তাতে প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা কাঠ লুটের কথা বলা হয়েছে। এই টাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে জমা পড়েনি। এই সম্পর্কিত একটি চালান উদ্ধার করা হয়েছে। যাতে কাঠবোঝাই ট্রাক বিশ্ববিদ্যালয়ের গেট দিয়ে বাইরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।’ উপাচার্য জানান, পুরো রিপোর্ট তিনি শীঘ্রই আচার্য এবং রাজ্যের উচ্চশিক্ষা দপ্তরে পাঠাবেন। তাদের নির্দেশ অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উল্লেখ্য, এই বছরেই প্রাক্তন উপাচার্য সাধন চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক-কর্মী এবং ছাত্র-ছাত্রীদের একাংশর পক্ষ থেকে বহু অভিযোগ ওঠে। তার মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরের বেশ কিছু গাছ কেটে নেওয়ার অভিযোগও উঠেছিল। এসবের ভিত্তিতে তাঁকে সরানোর দাবিতে দীর্ঘ আন্দোলনও হয়। নতুন উপাচার্য দায়িত্ব নেওয়ার পর সেই সব অভিযোগের তদন্ত শুরু হয়েছে। তার মধ্যে গাছ কাটার বিষয়টিও ছিল।

প্রাক্তন উপাচার্য সাধন চক্রবর্তীকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, ‘আমি থাকাকালীন একাধিক ভবন নির্মাণে তিন-চারটি শুকিয়ে যাওয়া গাছ কাটা হয়েছিল। তাই নিয়ে তখন অভিযোগ ওঠে। তবে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটির তদন্ত রিপোর্ট নিয়ে আমার কিছু জানা নেই।’ বন দপ্তরের তৎকালীন ডিএফও বুদ্ধদেব মণ্ডলকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, ‘তদন্তের চিঠি পাঠানো হয়েছিল। তার পর কী হয়েছে আমি জানি না।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *