এ ছাড়া যান চলাচল বন্ধ থাকবে জানুয়ারি মাসের বাকি রবিবারগুলিতেও। এর ফলে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন মাইথন-আসানসোলগামী রুটের মিনিবাসের যাত্রীরা। মাইথন যাওয়ার জন্য বাসগুলি ব্রিজের উপর যাতায়াত করতে পারবে না। এই সিদ্ধান্তে ক্ষোভপ্রকাশ করেছে আসানসোল মিনিবাস অ্যাসোসিয়েশন। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সুদীপ রায় বলেন, ‘আরটিও বা পরিবহণ দপ্তরের সঙ্গে আলোচনা না করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এটা অনৈতিক সিদ্ধান্ত।’
এ প্রসঙ্গে ডিভিসির পক্ষে মাইথনের জনসংযোগ আধিকারিক সঞ্জয় প্রিয়দর্শী বলেন, ‘ওই বৈঠকে ডিভিসি আধিকারিকদের সঙ্গে ঝাড়খণ্ড ও পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন। গত বছর পর্যন্ত দেখা গিয়েছে, ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম রবিবার পর্যন্ত বাস, গাড়ির ব্যাপক ভিড় হয় ব্রিজের উপর। এতে ব্রিজ তো বটেই, পর্যটকদের নিরাপত্তাও প্রশ্নের মুখে দাঁড়ায়। সেই জন্যেই এবার এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ব্রিজে ঢোকার অনেক আগে দু’পাশে বাস, গাড়ি রাখার জায়গাও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।’
এবারের শীতে মাইথনে আসা পর্যটকদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে বুধবার একযোগে বৈঠক করেন ঝাড়খণ্ড, পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ ও মাইথন জলধারের নৌকাচালকরা। ব্যাপক ভিড়ের কথা মাথায় রেখে ডিভিসি কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, ২৫ ডিসেম্বর, ৩১ ডিসেম্বর থেকে ৭ জানুয়ারি, ১৪ জানুয়ারি, ২১ জানুয়ারি এবং ২৮ জানুয়ারি মাইথন ড্যামে কোনও গাড়ি চলাচল করতে পারবে না।
গাড়ি নিয়ে যাঁরা আসবেন তাঁদের মাইথন ড্যামের নীচে নার্সারি এলাকা, ছটঘাট এলাকা ও কালিপাহাড়ি মন্দির এলাকার পার্কিং ব্যবহার করতে হবে। কোনও ভাবে নৌকাভ্রমণের সময় সেলফি তোলা যাবে না। বিকেল সাড়ে চারটে পর্যন্ত নৌকাভ্রমণের জন্য টিকিট দেওয়া হবে। নৌকায় নির্দিষ্ট আসনের চেয়ে একজন যাত্রীও বেশি নেওয়া যাবে না। সব যাত্রীর ক্ষেত্রেই লাইফ জ্যাকেট পরা বাধ্যতামূলক। লাইফ জ্যাকেট না থাকলে নৌকায় যাত্রী তোলা যাবে না। পরিবেশ দূষণের কথা মাথায় রেখে নিষিদ্ধ করা হয়েছে প্লাস্টিকের ব্যবহার। বৈঠকে ঠিক হয়, পর্যটকদের নিরাপত্তার নিশ্চিত করতে ডিভিসির নিরাপত্তারক্ষীরা দুই রাজ্যের পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় রেখে কাড করবেন।