ভাইয়ের বিয়েতে খোশমেজাজে অভিষেক
ভাইয়ের বিয়ে বলে কথা। সেই কারণে এই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বেশ কয়েকদিন আগেই কার্শিয়াং পৌঁছন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আবেশের বিয়েতে খোশ মেজাজে দেখা যায় ডায়মন্ড হারবারের সাংসদকে। পরনে ধূসর ব্লেজার ও নীল জিন্সের পাশাপাশি অভিষেকের মাথায় ছিল নেপালি টুপি। তাঁর স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও বেইজ রঙের শাড়িতে তৃণমূল সাংসদের পাশে দেখা গিয়েছে।
আবেশের বিয়েতে একাধিক নেতানেত্রী
আবেশ মুখ্যমন্ত্রীর ভাই কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূল কাউন্সিলর কাজরী বন্দ্যোপাধ্যায়ের সন্তান। তাঁর বিয়েতে প্রত্যাশিতভাবেই বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবার ঘনিষ্ঠ একাধিক নেতানেত্রীকে দেখা গিয়েছে। আবেশের বিয়ের অনুষ্ঠানে সস্ত্রীক উপস্থিত ছিলেন পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, বিধানগরের মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তী ও তাঁর স্বামী সমীর চক্রবর্তীকেও দেখা গিয়েছে। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জিটিএ চেয়ারম্যান অনীথ থাপা, শিলিগুড়ি মেয়র গৌতম দেব, ডেপুটি মেয়র রঞ্জন সরকার সহ উত্তরবঙ্গের একাধিক নেতানেত্রীকে দেখা গিয়েছে।
‘পাহাড়ের মেয়ে’কে বাড়ির বউ করলেন মমতা
পাহাড়ের মেয়েকে তিনি যে বাড়ির বউ করতে চলেছেন সেকথা আগেই জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বুধবারও কলকাতা বিমানবন্দর থেকে বাগডোগরার উদ্দেশে রওনা হওয়ার আগে এই নিয়ে মুখ খোলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। মমতা বলেন, ‘পাহাড়ের মানুষকে আমি খুব ভালবাসি। আমি কোনও পারিবারিক অনুষ্ঠানে থাকি না। কিন্তু যেহেতু পাহাড়ের মেয়েকে বিয়ে করছে, তাই আমি বিয়েতে থাকব।’
আবেশ বন্দ্যোপাধ্যায় পেশায় চিকিৎসক। তাঁর স্ত্রী দীক্ষাও পেশায় চিকিৎসক বলে জানা গিয়েছে। কলকাতার একটি বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজে পড়ার সূত্রে আলাপ আবেশ ও দীক্ষার। সেখান থেকে থেকেই তাঁদের বন্ধুত্ব। তারপর প্রেম। কার্শিয়াঙে বিয়ের আসর বসলেও রিসেপশন হবে কলকাতাতে। ইকো পার্কের একটি ব্যাঙ্কোয়েটে হবে ঝাঁ চকচকে রিসেপশনের অনুষ্ঠান। সেখানে রাজনীতিবিদ ও সেলিব্রিটিদের উপস্থিত থাকার কথা। তবে সেই অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থাকবেন না। সেই সময় পাহাড়ে রাজনৈতিক কর্মসূচি রয়েছে তাঁর।