অভিষেক এর আগে জানিয়েছিলেন, বার্ধক্য ভাতায় নতুন রেজিস্ট্রেশন করেছেন অথচ বিভিন্ন সমস্যার কারণে এখনও ভাতা পাচ্ছেন না, তাঁর লোকসভা কেন্দ্রের এমন ৭০ হাজার বয়স্ক মানুষকে বার্ধক্য ভাতা দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। বুধবার সকাল থেকে বয়স্ক মানুষদের থেকে আবেদন নেওয়ার পাশাপাশি তালিকা তৈরি করতে ডায়মন্ড হারবার, ফলতা, বিষ্ণুপুর, সাতগাছিয়া, বজবজ, মহেশতলা ও মেটিয়াব্রুজ প্রত্যেক বিধানসভার পঞ্চায়েত ও পুরসভার গ্রামে গ্রামে ও ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে ‘সাংসদ সহায়তা কেন্দ্র’ নামে শিবির খোলা হয়েছে। ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রের সাতটি বিধানসভা মিলিয়ে প্রায় দুশোর কাছাকাছি শিবির খোলা হয়েছে।
প্রথম দফায় ৬ থেকে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত এবং দ্বিতীয় দফায় ১১ থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত ‘সাংসদ সহায়তা কেন্দ্র’-এ এসে বার্ধক্য ভাতার জন্য আবেদন জানাতে পারবেন বয়স্ক আবেদনকারীরা। একটি ফর্ম রয়েছে। সেই ফর্ম পূরণ করে প্রয়োজনীয় তথ্য জমা দেওয়ার পর শিবিরে থাকা তৃণমূলের কর্মীরা ‘এক ডাকে অভিষেক’-এর নম্বরে কল করে আবেদনকারীদের সরাসরি কথা বলাচ্ছেন। ফোনের উল্টো দিকে ক্যামাক স্ট্রিটের অফিস থেকে আবেদনকারীর সমস্ত তথ্য আরও ভালো করে যাচাই করা হচ্ছে বলে খবর।
অসুস্থ বয়স্করা বাড়ি থেকে যাঁরা বের হতে পারেন না, দলের প্রতিনিধিরা তাঁদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে আবেদনপত্র জমা নেবেন। ডায়মন্ড হারবার বিধানসভার তৃণমূলের পর্যবেক্ষক সামিম আহমেদ বলেন, ‘সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ মেনে সাংসদ সহায়তা কেন্দ্র থেকে বার্ধক্য ভাতার আবেদনপত্র গ্রহণ করা হচ্ছে। সাংসদ চান ৬০-এর উপর কোনও মানুষ যেন এই পরিষেবা থেকে বঞ্চিত না হন।’
এই ভাতাপ্রদান নিয়ে বিরোধীরা একাধিক প্রশ্ন তুললেও এ দিন বহু মানুষ ভিড় জমিয়েছেন শিবিরগুলোয়। এ দিন সন্ধে পর্যন্ত গোটা লোকসভা কেন্দ্রজুড়ে ১৫ হাজারের বেশি আবেদনপত্র জমা পড়েছে বলে জানা গিয়েছে।