Organ Trafficking : লুকিয়ে অশালীন ভিডিয়ো, ব্ল্যাকমেল করে ধর্ষণ তরুণীকে – a young woman working at a nursing home on park street was taken to different hotels and alleged to have been tortured


সোমনাথ মণ্ডল
ধর্ষণের মামলার তদন্তে নেমে মানব শরীরের অঙ্গ পাচার চক্রের যোগ পেল পুলিশ। পার্ক স্ট্রিটের একটি নার্সিংহোমে কর্মরত এক তরুণীকে শহরের বিভিন্ন হোটেলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ দায়ের করেছেন নির্যাতিতা। তাঁর দাবি, অভিযুক্ত ওই ব্যক্তি নার্সিংহোমের আরএমও পদে রয়েছেন। শুধু ধর্ষণই নয়, ওই ব্যক্তি মানব শরীরের অঙ্গ পাচার চক্রের সঙ্গেও যুক্ত রয়েছেন বলে অভিযোগে জানানো হয়েছে।

নির্যাতিতার অভিযোগ, প্রভাবশালী ব্যক্তিদের সঙ্গে যোগসাজশ থাকায় ধর্ষণের অভিযোগ করতে ভয় পাচ্ছিলেন তিনি। সম্প্রতি টেলিগ্রাম অ্যাপের মাধ্যমে ফোন করে তাঁকে হুমকি দেওয়া হয়। অভিযুক্ত জানান, শরীরের বিভিন্ন অংশ কেটে টুকরো টুকরো করে বিক্রি করে দেব। শেষ পর্যন্ত প্রাণহানির আশঙ্কায় পার্ক স্ট্রিট থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন বছর তেইশের ওই তরুণী।

ভিন রাজ্য থেকে নার্সিং-এর কোর্স শেষ করে ২০২০ সালে পার্ক স্ট্রিট থানা এলাকার একটি বেসরকারি নামী নার্সিংহোমে কাজে যোগ দেন তরুণী। সেখানে অভিযুক্ত ব্যক্তির সঙ্গে তাঁর আলাপ হয়। ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। অভিযোগ, লুকিয়ে নির্যাতিতার ড্রেস চেঞ্জ করার ভিডিয়ো এবং ছবি তুলে রাখেন অভিযুক্ত। পরে তা দেখিয়েই শুরু হয় ব্ল্যাকমেল। এ ভাবেই ওই তরুণীকে নিজের ‘কব্জায়’ নিয়ে গত তিন বছর ধরে বিভিন্ন সময়ে ধর্ষণের ঘটনা ঘটানো হয় বলে অভিযোগ করেছেন নির্যাতিতা।

এমনকী, তাঁকে বিয়েরও আশ্বাসও দেওয়া হয়েছিল বলেও দাবি তাঁর। তরুণীর বক্তব্য, ‘বাবা যেহেতু গুরুতর অসুস্থ, তাই টাকার প্রয়োজনে চাকরি ছাড়তে পারিনি।’ হাওড়ার দাসনগরের বাসিন্দা ওই যুবক লুকিয়ে তোলা ভিডিয়ো এবং ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ফাঁস করে দেওয়ারও হুমকি দিতে থাকেন। নির্যাতিতার দাবি, ওই নার্সিংহোমে কাজের সূত্রে ধীরে ধীরে তিনি বুঝতে পারেন, অভিযুক্ত মানব শরীরের অঙ্গ পাচার চক্রের সঙ্গেও যুক্ত থাকতে পারেন। শেষে ওই তরুণী একটি মানবাধিকার সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এর পর, পার্ক স্ট্রিট থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তরুণী।

নির্যাতিতা বলেন, ‘প্রথমে আতঙ্কে আমি বিষয়টি কাউকে জানাতে পারিনি। বারবারই ছবি এবং ভিডিয়ো প্রকাশ করে দেওয়ার ভয় দেখানো হয়েছে।’ তাঁর আইনজীবী নীলাদ্রি চট্টোপাধ্যায় এবং আশিসকুমার সামন্ত বলেন, ‘পুলিশ কমিশনার তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন। আমার চাই দ্রুত অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হোক।’ পুলিশ সূত্রের খবর, তরুণীর অভিযোগের ভিত্তিতে ভারতীয় দণ্ডবিধির ধর্ষণ, হুমকি, শ্লীলতাহানি সহ একাধিক ধারায় এফআইআর রুজু করা হয়েছে। অভিযুক্তের খোঁজ চলছে। ঠিক কী ঘটনা ঘটেছিল, কেন তরুণীর সঙ্গে শারীরিক নির্যাতন করা হয়েছিল, নেপথ্যে অন্য কোনও রহস্য রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে পার্ক স্ট্রিট থানা সূত্রে জানা গিয়েছে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *