কী ঘটনা?
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কলকাতার যাদবপুর থানা এলাকার মুকুন্দপুরের বাসিন্দা নিরুপমা চক্রবর্তী ও তার সঙ্গীরা বেশ কিছুদিন ধরে পাণ্ডুায়ার খন্যানে এই চক্র চালাচ্ছিল। হুগলিসহ বিভিন্ন জেলা থেকে চাকরি প্রার্থীরা আসতেন। রেলের মাল গুদামে চাকরি দেওয়ার নামে টাকা নেওয়া হত।
বুধবার চাকরিপ্রার্থীদের খন্নানের শিব মন্দির ফুটবল খেলার মাঠ সংলগ্ন একটি বাড়িতে কাগজে সই করাতে ডাকে নিরুপমা। সেখানে চাকরিপ্রার্থীরা জানতে পারেন যে তাঁরা প্রতারণার ফাঁদে পড়েছেন। এরপরই চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। স্থানীয় তৃণমূল নেতা শান্তনু সরকার বিষয়টি জানতে পেরে পাণ্ডুয়া থানায় খবর দেন। পুলিশ এসে নিরুপমা চক্রবর্তী নামের ওই মহিলা ও তাঁর দুই সাগরেদকে আটক করে পাণ্ডুয়া থানায় নিয়ে যায়। জিজ্ঞাসাবাদের পর বয়ানে অসঙ্গতি ধরা পড়ায় তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার ধৃতদের চুঁচুড়া আদালতে পেশ করার কথা।
কী বলছেন চাকরি প্রার্থীরা?
প্রীত গুপ্তা নামে এক চাকরি প্রার্থী বলেন, ‘আমাদের বলা হয়েছিল মালের গুদাম এখন ভারতীয় রেল পরিচালনা করছে। সেখানে আমাদের স্থায়ী চাকরির প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এলে ওই মহিলা বলে যে রবীন্দ্র মুক্ত বিদ্যালয়ের ফর্ম ফিলাপ চলছে। তখনই আমি বুঝতে পারি যে প্রতারণার ফাঁদে ফেলা হয়েছে।’ট
অন্যদিকে পান্ডুয়ার সিমলাগর চাঁপাহাটির বাসিন্দা বাবুন হাঁসদা চাকরির জন্য ৩০ হাজার টাকা দিয়েছে বলে দাবি করেন। কিন্তু চাকরি না পাওয়ায় তিনি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তাঁর ভিত্তিতে নিরুপমার গ্যাংকে গ্রেফতার করে। তিনি বলেন, ‘আমি নিজের ও স্ত্রীয়ের চাকরির জন্য টাকা দিয়েছিলাম। আমাদের নিশ্চয়তা দেওয়া হবে। রেলের মাল গুদামের আই কার্ড দেওয়া হয়। কিন্তু চাকরি হয়নি। তারপরই আমি থানায় অভিযোগ দায়ের করি।’
উল্লেখ্য, চাকরি নিয়ে প্রতারণার একের পর এক ঘটনা সামনে এসেছে। বিভিন্ন জায়গা থেকে অনেককে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যদিকে শিক্ষক থেকে পুরসভা, টাকার বিনিময়ে চাকরি একাধিক ঘটনায় সামনে এসেছে। আদালতের নির্দেশে তদন্তে নেমেছে ইডি-সিবিআইয়ের মতো কেন্দ্রীয় সংস্থা। নাম জড়িয়েছে প্রভাবশালীদেরও।