Suvendu Adhikari : কৃষকদের ‘কুকথা’ ওসির! ‘আমি আসছি…ক্ষমা চাওয়াব’, হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর – suvendu adhikari bjp west bengal leader slams hooghly goghat police official for abuse


পুলিশের বিরুদ্ধে এবার বিস্ফোরক বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। নন্দীগ্রামের বিধায়কের নিশানায় হুগলির গোঘাট থানা। পুলিশের বিরুদ্ধে কৃষকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার ও কুকথা বলার অভিযোগ করেছেন বিরোধী দলনেতা। বিধানসভায় সাংবাদিক বৈঠকে সেই ভিডিয়ো দেখিয়ে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন শুভেন্দু। ব্যক্তিগত এক্স হ্যান্ডেলেও সেই ভিডিয়ো শেয়ার করেছেন বিরোধী দলনেতা। যদিও ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি এই সময় ডিজিটাল।

কী ঘটনা?

বিধানসভায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ভিডিয়ো দেখিয়ে কার্যত হুঁশিয়ারি দেন শুভেন্দু। বিরোধী দলনেতা বলেন, ‘কিষাণ মান্ডিতে কৃষকদের প্রতি ১০০ কেজি ধান থেকে ৫ থেকে ১০ কেজি ধান কেটে নেওয়া হচ্ছে। উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গে এই কাজ হচ্ছে। এতে কৃষকরা ক্ষতির মুখে পড়ছেন। এটা কোনও রাজ্যে হয় না। গোঘাটের কৃষকরা এর প্রতিবাদ করেছিলেন বলে গোঘাট থানার ওসি কৃষকদের বিরুদ্ধে কুকথা বলেছেন, হুমকি দিয়েছেন। এই ওসির নাম অরূপ মণ্ডল।’

এরপরই পুলিশকে কার্যত হুঁশিয়ারি দিয়ে শুভেন্দু বলেন, ‘বাংলার অর্থনীতির শতকরা ৭০ থেকে ৭৫ ভাগ কৃষির উপর নির্ভর করে। আমি কৃষকদের বলছি, পুলিশ অত্যাচারের বিরুদ্ধে রাস্তায় নামুন। পথ অবরোধ করুন। আমি গোঘাট থানায় যাচ্ছি। ওসি যাঁকে কুকথা বললেন, তাঁর পা ধরিয়ে ছাড়ব। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বলছি, আপনার পুলিশদের সংযত করুন। কেন্দ্রীয় সরকারের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য অনুযায়ী দাম দিতে হবে। যদি সেই অনুযায়ী দাম না দেন, তাহলে আমাকে জানান।’ এই বিষয়ে প্রতিক্রিয়ার জন্য গোঘাট থানার ওসির সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। কিন্তু তিনি ফোন ধরেননি।

মমতাকে নিশানা বিরোধী দলনেতার

বাংলার কৃষককদের দুর্দশার জন্য রাজ্য সরকারকে দায়ী করেছেন বিরোধী দলনেতা। সাংবাদিক বৈঠক থেকে শুভেন্দু বলেন, ‘মমতার সরকারের অদূরদর্শিতার জন্য বাংলার কৃষকদের অনেক ক্ষতি হয়েছে। প্রাকৃতিক কোনও দুর্যোগ বা বিপর্যয়ের জন্য আমি কাউকে দায়ী করি না। কিন্তু অদূরদর্শিতার জন্য সরকার দায়ী। ফসল তুলে নেওয়ার কথা বলে আগে থেকে প্রচার করা উচিত ছিল। এমন আগেও করা হয়েছে। কিন্তু এবার সেটা করা হয়নি।’

দুর্নীতি নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করতে গিয়ে মোদীর দরাজ প্রশংশা করে শুভেন্দু বলেন, ‘এই দশ বছরে নরেন্দ্র মোদীর কোনও মন্ত্রীর বিরুদ্ধে কেউ আঙুল তুলতে পেরেছে? রাফাল নিয়ে কংগ্রেস অভিযোগ তুলেছিল, তারপর সুপ্রিম কোর্ট কী বলেছে সেটা সবাই জানে। মহুয়া মৈত্র ও কার্তি চিদম্বরমরা মোদীর বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলেছিল। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *