আইডি কার্ড পাঞ্চ করে পড়ুয়াদের হাজিরা মন্তেশ্বরের প্রাথমিক স্কুলে – a non paying primary school in kalna has launched a digital attendance system


এই সময়, কালনা: রোল নম্বর শুনে হাত তুলে পড়ুয়ারা বলবে উপস্থিত। আর অ্যাটেনডেন্স খাতায় নীল-লাল কালিতে প্রেজ়েন্ট বা অ্যাবসেন্ট লিখে রাখবেন সামনে বসা শিক্ষক। স্কুলে পড়ুয়াদের হাজিরা নেওয়ার এই চেনা ছবি একেবারে পাল্টে ফেলেছে মন্তেশ্বরের প্রত্যন্ত এলাকার একটি স্কুল। শহর মন্তেশ্বর থেকে প্রায় ৪ কিলোমিটার ভিতরে সিংহালি অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চালু হয়েছে ডিজিটাল অ্যাটেনডেন্স সিস্টেম। যা দেখা যায় কর্পোরেট অফিস এবং ইদানিং কিছু সরকারি দপ্তরে। সেখানকার মতো মন্তেশ্বরের এই স্কুলে পড়ুয়ারা ঢোকা এবং বেরোনোর সময় তাদের আইডি কার্ড পাঞ্চ করছে অ্যাটেনডেন্সের মেশিনে। আর তা রেজিস্টার হয়ে যাচ্ছে স্কুলের সিস্টেমে। তাই আপাতত তাকে উঠেছে সিংহালি অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চিরাচরিত হাজিরা খাতা।

বুধবার প্রত্যন্ত ওই স্কুলে নতুন অ্যাটেনডেন্স সিস্টেমের সূচনা করেন মন্তেশ্বর-১ চক্রের বিদ্যালয় পরিদর্শক শ্রীপর্ণা চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘মন্তেশ্বর ব্লকে প্রথম তো বটেই, রাজ্যের অন্য কোথাও কোনও প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এমন ডিজিটাল অ্যাটেনডেন্স ব্যবস্থা সম্ভবত নেই।’ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক গোরাচাঁদ দত্ত জানান, স্কুলে হাজিরা নথিভুক্ত হওয়ার পাশাপাশি আর একটি সুবিধা রয়েছে এই সিস্টেমের। স্কুলে ঢোকা ও ছুটির পর স্কুল থেকে চলে যাওয়ার সময়ে কার্ড পাঞ্চ করলে অভিভাবকের মোবাইলেও চলে যাবে এসএমএস অ্যালার্ট।

যার ফলে ছেলেমেয়েদের স্কুলে ঢোকা ও বেরোনোর উপর নজরদারি থাকবে অভিভাবকদেরও। তাই স্কুলে এমন ব্যবস্থা চালু হওয়ায় ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে অভিভাবকরাও খুশি। প্রধান শিক্ষক আরও বলেন, ‘বেশিরভাগ ছাত্রছাত্রী অভাবি পরিবারের। বাবা-মায়েরা কাজে ব্যস্ত থাকার কারণে অনেক সময়েই ছেলেমেয়েদের স্কুলে পৌঁছে দিতে পারেন না। তাই এই ব্যবস্থা উপকারেই আসবে সকলের।’ কীভাবে এমন উদ্যোগের কথা মাথায় এলো? জবাবে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বলেন, ‘এরকম একটি ডিজিটাল অ্যাটেনডেন্স পদ্ধতির ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছিল। তার পরই আমরা বিষয়টা নিয়ে উদ্যোগী হই। আজ তার উদ্বোধন হলো। একই পদ্ধতিতে এবার শিক্ষক-শিক্ষিকারাও হাজিরা দেবেন।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *