শীঘ্রই পিপিই মডেলে ক্রুজ চালানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে ডায়মন্ড হারবার পুরসভার পক্ষ থেকে। আর সেই উদ্যোগের ফলেই দিঘা থেকে পুরী পৌঁছে যাওয়া যাবে মাত্র সাড়ে চার ঘণ্টায়। স্বাভাবিকভাবেই খুশির হাওয়া পর্যটক মহলে।
কম সময়ে স্বল্প খরচে বেড়াতে যাওয়া মানেই বাঙালির পছন্দের তালিকায় প্রথমেই আসে ‘দিপুদা’ অর্থাৎ দিঘা, পুরী, দার্জিলিং। সারা বছরই বাংলা থেকে অসংখ্য পর্যটক এই তিন জায়গায় বেড়াতে যান। খরচ তো বটেই, একইসঙ্গে রেলপথে কিংবা সড়কপথে এই ভ্রমণ গন্তব্যগুলিতে যাওয়ার জন্য সেভাবে ঝক্কি পোহাতে হয় না।
এবার পর্যটকেরা দার্জিলিং বাদে সহজেই বাকি দুই পছন্দের ডেস্টিনেশনে জলপথেও পৌঁছে যেতে পারবেন। তেমনই উদ্যোগ নিয়েছে ডায়মন্ডহারবার পুরসভা। শীঘ্রই পিপিই মডেলে ক্রুজ চালানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে। এর ফলে মাত্র দেড় ঘণ্টায় দিঘা এবং ছয় ঘণ্টায় পুরী পৌঁছনো যাবে। কলকাতার কাছেই এই রুট চালু হওয়ায় পর্যটকদের ঝক্কি একধাক্কায় অনেকটাই কমবে বলে মনে করা হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট ক্রুজই জুড়তে চলেছে ডায়মন্ডহারবার, দিঘা এবং পুরীকে।
পুরসভার এই উদ্যোগে সাড়া দিয়ে ইতিমধ্যেই এগিয়ে এসেছে একটি সংস্থা, সূত্রের খবর এমনটাই। জানা যাচ্ছে, হুগলি নদী, সমুদ্র উপকূল দিয়ে এই ক্রুজ পৌঁছে যাবে দিঘা এবং পুরীতে। বাস বা ট্রেনের থেকে অনেক কম সময়েই তা পৌঁছে যেতে পারে। খুব শীঘ্রই এই উদ্যোগ চালু করার জন্য শুরু হবে ট্রায়াল রানও।
ক্রুজটি ডায়মন্ড হারবার জেটি থেকে ছাড়বে এবং প্রথমে গঙ্গাসাগরে যাবে। এরপর সেখানে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পর পুরীর উদ্দেশে রওনা দেবে।এখনও পর্যন্ত সাগরের কপিলমুনির আশ্রম ও পুরীর জগন্নাথ মন্দির একসঙ্গে দর্শন করার সুযোগ খুব কম পাওয়া যায়।
এই পথে ডায়মন্ড হারবার থেকে পুরী পৌঁছনোর জন্য সময় লাগবে ছয় ঘণ্টা। আর দিঘা পৌঁছে যাওয়া যাবে মাত্র ১ ঘণ্টা ৩০ মিনিটে। আর মাত্র কয়েক দিনের প্রতীক্ষা। তারপরেই বাস্তবায়ন হবে এই পরিকল্পনার। ক্রুজে জলপথে দিঘা ও পুরী ভ্রমণের সাধ পেতে চলেছে বাঙালি। পুরসভা সূত্রে খবর, এই উদ্যোগের ফলে একদিকে যেমন পুরসভার লাভ হতে চলেছে, তেমনই সুবিধা হবে একাধিক পর্যটকদেরও।