১৮৮৩ সালের ৭ ডিসেম্বর শিয়ালদহ থেকে প্রথম যাত্রীবাহী ট্রেন ঢুকেছিল গোবরডাঙা স্টেশনে। এরপর থেকে ধারাবাহিক ভাবে ট্রেনের আসা-যাওয়া চলেছে। ধাপে ধাপে প্রাচীন এই জনপদের স্টেশনটি কলেবরে বেড়েছে। তিন তিনটি প্ল্যাটফর্ম হয়েছে। উল্লেখ্য, জমিদারের সময়কালে তিন নম্বর প্ল্যাটফর্মের বাঁ দিকে তৈরি হয়েছিল ছোট আকারের একটি প্ল্যাটফর্ম। গোবরডাঙার জমিদাররা ঢাকার নবাবের দাবি মতো হাতি ট্রেনে করে পাঠানোর জন্যই এই প্ল্যাটফর্মটি বড়লাটকে বলে করিয়েছিলেন। গোবরডাঙার লোকজন এখন সেই প্ল্যাটফর্মকে সাড়ে তিন নম্বর বলে থাকেন।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই স্টেশনের জন্মদিন পালনের তোড়জোড় শুরু হয়েছিল। স্থানীয় এক শিল্পীর তুলির টানে দৃষ্টিনন্দন আলপনা আঁকা হয়েছিল প্ল্যাটফর্মে। সন্ধ্যার পরেই প্ল্যাটফর্মটি বিভিন্ন রঙবেরঙের বেলুন দিয়ে সাজিয়ে তোলা হয়। ঘড়ির কাটা ১২ ছুঁতেই জ্বালানো হয় ১৪১টি মোমবাতি। কাটা হয় কেকও। সকলে মিলে গেয়ে ওঠেন হ্যাপি বার্থ ডে।
গোবরডাঙা স্টেশন ম্যানেজার সঞ্জিত সোম বলেন, ‘গোবরডাঙা স্টেশনের জন্মদিন পালনের কথা শুনেছিলাম। কিন্তু আমার ডিউটিতে এই প্রথম এমন অভিজ্ঞতার সাক্ষী থাকলাম। স্টেশনের জন্মদিন পালন একটা ইউনিক বিষয়। তাতে সামিল হতে পেরে খুব ভালো লেগেছে।’
আয়োজক যাত্রীদের একজন বাপ্পা দে বলেন, ‘গোবরডাঙা থেকে কলকাতার সঙ্গে প্রতিনিয়ত যোগাযোগের লাইফলাইন হলো ট্রেন। তাই গোবরডাঙা স্টেশনটাও জড়িয়ে রয়েছে। বহু মানুষের রুটিরুজির জায়গা। সেই স্টেশনের ১৪১তম জন্মদিন আমরা পালন করলাম।’ উল্লেখ্য, এই শহরের একদল যুবকের উদ্যোগে গত বছর থেকে শুরু হয়েছে গোবরডাঙা স্টেশনের জন্মদিন পালন।