বৃহস্পতিবার অণ্ডালের কাজী নজরুল ইসলাম বিমানবন্দর সংলগ্ন ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কে বাস স্টপেজ দেওয়া বাধ্যতামূলক করল রাজ্য সরকার। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের দীর্ঘদিনের অভিযোগ ও আবেদনে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য। ওই জাতীয় সড়ক হয়ে ঝাড়খণ্ড, বিহার ও ওড়িশা যাতায়াত করে বহু দূরপাল্লার বাস। রাজ্য পরিবহণ দফতর পরিবহনের সংশ্লিষ্ট বিভাগকে অণ্ডালে স্টপেজ দেওয়ার জন্য আবেদন করেছে।
যদিও স্টেট ট্রান্সপোর্ট অথরিটির দাবি, উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগমের প্রতিটি বাস অণ্ডালে স্টপেজ দেয়। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের অভিযোগ ছিল, বিমান বন্দরের সামনে বাস স্টপেজ না দেওয়ায় বিমান যাত্রীরা দুর্ভোগের সম্মুখীন হচ্ছে। তাই সমস্যা দূর করতে এবং স্টপেজ সুনিশ্চিত করতেই এই সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য সরকার। এবার থেকে দূরপাল্লার সমস্ত বাস বিমান বন্দরের সামনে থামবে।
উল্লেখ্য, পশ্চিম বর্ধমান জেলার দুর্গাপুরের অণ্ডাল এলাকায় বাম আমলে বেসরকারি বিমানবন্দরটি গড়ে ওঠে। সিঙ্গাপুরের চাঙ্গি এয়ারপোর্টস ইন্টারন্যাশানাল এর সহযোগিতায় বেঙ্গল এয়াট্রোপোলিশ লিমিটেড এই বিমাননগরীটি নির্মাণ করে।২০০৬-০৭ সালে বাম আমলে এই প্রকল্পের পরিকল্পনা করা হয়েছিল। ২০১৩ সালে ১৯ সেপ্টেম্বর পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিমানবন্দরটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন।
কবি কাজী নজরুল ইসলামের নামে বিমানবন্দরটির নামকরণ করা হয়। বিমানবন্দরটি আসানসোল ও দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলে বিমান পরিষেবা প্রদান করে। এছাড়াও বিমানবন্দরটি পূর্ব বর্ধমান, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, বীরভূম ও ঝাড়খন্ড বিহার সহ ওড়িশা রাজ্যের যাত্রীদেরও পরিষেবা প্রদান করে থাকে। ১৯ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে বহু যাত্রীরা এই বিমানবন্দরে এসে পৌঁছন। লোকাল থেকে দূরপাল্লার বাসের স্টপেজ রয়েছে। সরকারি থেকে বেসরকারি বাস স্টপেজও দিয়ে থাকে বলে দাবি পশ্চিম বর্ধমান জেলার আরটিও’র। আরটিও মৃন্ময় মজুমদার জানান, কিছু লাক্সারি বাসের সমস্যা হয়েছিল। কোনও কারণে স্টপেজ দিচ্ছে না কয়েকটি বাস। দুর্গাপুরের এআরটিও’কে বিষয়টি দেখার জন্য জানানো হয়েছে ইতিমধ্যেই।